ছবি: সংগৃহীত।
বিভিন্ন রকম শুকনো ফল বা ‘ড্রাই ফ্রুট্স’ বাজারে সহজলভ্য। কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তা, খেজুর কিংবা কিশমিশ তো ছিলই। এখন যোগ হয়েছে ফিগ, অ্যাপ্রিকট, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরির মতো ফলও। শরীরে বিভিন্ন খনিজ, মাইক্রো এবং ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টের জোগান দিতে এই ধরনের শুকনো খাবার খাওয়া ভাল। শরীরের কফ, পিত্ত এবং বায়ু, আয়ুর্বেদে উল্লিখিত 'ত্রিদোষ'-এর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে এই শুকনো ফলগুলি। তবে উপকার থাকলেও এই সব বাদাম, বীজ কিংবা শুকনো ফল খাওয়ার কিন্তু বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে। শরীরের যাতে উপকারে লাগে, তার জন্যে সেই নিয়মগুলি জানা জরুরি।
সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন
সারা রাত শুকনো ফল, বাদাম বা বীজ ভিজিয়ে রাখলে তা সহজপাচ্য হয়ে ওঠে। ফলে যাঁদের হজমের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে এই টোটকা বিশেষ ভাবে উপকারী। তা ছাড়া যাঁদের বায়ু-ঘটিত সমস্যা রয়েছে, তাঁরাও কাঠবাদাম, আখরোট কিংবা শুকনো ডুমুর ভিজিয়ে খেতে পারেন।
সঠিক সময় নির্বাচন করা জরুরি
আয়ুর্বেদ বলছে, শুকনো খাবারের গুণাগুণ আরও বেড়ে যেতে পারে যদি তা সঠিক সময়ে খাওয়া যায়। সাধারণত এই সব খাবার একেবারে সকালের দিকে খেতে বলা হয়। অনেকেই সকালের জলখাবারের সঙ্গে শুকনো ফল, বাদাম বা বিভিন্ন রকম বীজ খেয়ে থাকেন। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সকালে যে কোনও সময়েই খাওয়া যেতে পারে এই সমস্ত শুকনো খাবার। তবে সূর্যাস্তের পর কিংবা মধ্যরাতে কোনও ভাবেই কাঠবাদাম, কাজু, আখরোট কিংবা খেজুর খাওয়া যাবে না।
কার সঙ্গে কোনটা খাবেন
সুস্থ থাকতে গেলে শুধু শুকনো ফল, বাদাম খেলেই হবে না। কার সঙ্গে কোনটা খেলে তা শরীরের উপকারে লাগবে, সে বিষয়ে জানতে হবে। যেমন ৫-৬টি কাঠবাদামের সঙ্গে যদি ১টি খেজুর এবং সামান্য একটু কেশর মিশিয়ে খাওয়া যায়, তা হলে কাঠবাদাম এবং খেজুরের পুষ্টিগুণ আরও বেড়ে যায়। আবার ব্লুবেরির সঙ্গে অ্যাপ্রিকট খাবেন, না কি ফিগ, তা পুষ্টিবিদের কাছ থেকে জেনে নিয়ে তবেই খাওয়ার অভ্যাস করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy