স্বাদ এবং স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে ডিম। ছবি: সংগৃহীত।
সকাল, দুপুর, কিংবা রাত— দিনের কোনও একটি খাবারে ডিম থাকবে না, তা যেন হতেই পারে না। পোচ, অমলেট, কষা, নানা ভাবে ডিম খাওয়া হয়। মাছের মতোই ডিমের প্রতিও বাঙালির ভালবাসা অটুট। ডিম যে শুধু স্বাদের খেয়াল রাখে, তা তো নয়। বরং ডিমের স্বাস্থ্যগুণও যথেষ্ট। ইদানীং অবশ্য অনেকেই ভেগান খাবারদাবারের প্রতি ঝুঁকছেন। ফলে মাছ, মাংসের সঙ্গে ডিম খাওয়াও বন্ধ। এক দিনে দু’টো ডিম খেলে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু ডিম খাওয়া বন্ধ করে দিলে কোনও সমস্যা হতে পারে কি?
ডিম হল নানা ধরনের পুষ্টিগুণে ঠাসা। শরীরে সেই উপাদানগুলির ঘাটতি পূরণ করতে ডিম খাওয়া অবশ্যই জরুরি। কিন্তু ডিম খাওয়া বন্ধ করে দিলে শরীরে প্রোটিন, মিনারেলসের মতো অত্যন্ত উপকারী এবং প্রয়োজনীয় উপাদানের অভাব ঘটবে। পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, পেশি ক্ষয়ের মতো নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। সেই সঙ্গে শারীরিক দুর্বলতা তো রয়েছেই। ডিম শরীর চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে। আর কী কী সমস্যা হতে পারে ডিম খাওয়া ছাড়লে?
১) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে শরীরে প্রোটিন পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকা জরুরি। ডিম হল প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস। ফলে ডিম যদি রোজের খাবারে না থাকে, সে ক্ষেত্রে প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দেয়। আর সেই ঘাটতির হাত ধরেই ওজন বাড়তে থাকে।
২) ডিমে রয়েছে লুটেইন, জেক্সানাথিন নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে। ডিম না খেলে চোখের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩) হৃদ্যন্ত্রের খেয়াল রাখে ডিম। প্রতি দিন ডিম খাওয়ার অভ্যাসে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে। ডিম না খেলে সেই ঝুঁকি বাড়তে পারে।
ডিম না খেলেও সুস্থ থাকতে মাছ, মাংস কিন্তু খেতেই হবে। সেই সঙ্গে নানারকম শাকসব্জি, ডাল, ফল বেশি করে খাওয়া জরুরি। খেতে হবে দুগ্ধজাত খাবারও। এই খাবারগুলি থেকেও ভিটামিন বি১২, আয়রন, ফাইবার, প্রোটিন পাওয়া যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy