মাত্র পাঁচ দিনে ক্ষত সারিয়ে কী ভাবে সেরে উঠলেন সইফ, আসল কারণটা কী? ফাইল চিত্র।
রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ঢুকেছিলেন সইফ আলি খান। পিঠে বিঁধেছিল ধারালো ছুরির ফলা। হাসপাতালে ঢোকার পাঁচ দিনের মাথায় যখন সইফকে ছেড়ে দেওয়া হয়, তখন তাঁর চেহারা দেখে চমকে ওঠেন সকলে। হাতের কব্জিতে ব্যান্ডেজ ছাড়া সারা শরীরে ক্ষতের চিহ্নমাত্র নেই। পরিষ্কার করে কামানো দাড়ি, ঝকঝকে চেহারা, চোখমুখের ঔজ্জ্বল্য দেখে সন্দেহও দানা বাঁধে অনেকের মনে। তা হলে কি তেমন কিছুই হয়নি? এর উত্তর দিয়েছেন সইফের বোন সাবা। একজন চিকিৎসকের ভিডিয়ো পোস্ট করে তিনি জানিয়েছেন, অহেতুক সন্দেহ না বাড়িয়ে বরং অস্ত্রোপচারের পরে কী ভাবে সইফ সুস্থ হলেন তা জেনে নেওয়াই ভাল।
মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতাল জানিয়েছিল, শিরদাঁড়ার কাছে গভীর ক্ষত ছিল সইফের। বেরিয়ে আসছিল সেরিব্রো স্পাইনাল তরল। যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতেই হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন তিনি। সেই অবস্থা থেকে মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় কী ভাবে ক্ষত সারালেন অভিনেতা সে নিয়েই বিস্ময় তৈরি হয়েছে। চিকিৎসকেরা কিন্তু বলছেন, আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থায় সবই সম্ভব। এই বিষয়ে হার্টের চিকিৎসক দিলীপ কুমারের ব্যাখ্যা, এখন মাইক্রোসার্জারি এসে গিয়েছে। এখন আর বুকের হাড় কেটে বাইপাস করতে হয় না, বরং মিনিমাল ইনভ্যাসিভ হার্ট সার্জারিতে শরীরে ছোট ছিদ্র করেই অস্ত্রোপচার করা সম্ভব। এই ধরনের অস্ত্রোপচারে রোগী খুব তাড়াতাড়ি সেরে উঠতে পারেন। এমনকি অস্ত্রোপচারের কিছু দিন পরেই রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যে কোনও রকম মাইক্রোসার্জারিতেই রোগীর দ্রুত আরোগ্য সম্ভব। তাতে অস্ত্রোপচার পরবর্তী সময়ের যন্ত্রণা বা জটিলতা তেমন থাকে না। রোগী খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন।
সইফের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনই হয়েছে। তাঁর শরীরে কী ধরনের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে, সেই নিয়ে বিশদে জানা যায়নি। তবে ক্ষত যদি খুব গভীর না হয়, তা হলে মাইক্রোসার্জারিতে তাড়াতাড়ি সেরে ওঠা সম্ভব।
সইফ নিয়মিত শরীরচর্চা করতে, পুষ্টিকর খাবারও খেতেন, তাই তাঁর কাছে জটিল অস্ত্রোপচারের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা সহজ হয়েছে, এমনই মত চিকিৎসকদের। সইফের শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিকিৎসক দীপক কৃষ্ণমূর্তি একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে বুঝিয়েছেন, যাঁর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যত বেশি, তাঁর দ্রুত সেরে ওঠার সম্ভাবনা ততই বেশি। সুস্থ শরীর, নিয়মমতো শরীরচর্চা ও সুষম খাদ্যাভ্যাস যাঁরা মেনে চলেন, তাঁরা অসুস্থ হলেও তাড়াতাড়িই সেরে উঠবেন। এমনও দেখা গিয়েছে, অস্টিয়োপোরেসিস ও অস্টিয়োআর্থ্রাইটিসের রোগীও সেরে উঠে সোজা হাঁটতে পারছেন। কারণ, তাঁদের পেশি ও হাড়ের শক্তি বেশি। বয়ঃসন্ধির ঠিক আগে বা পরে হাড়ের গঠন ও শক্তি বাড়ানোর সময়। এই সময়ে সহজে হাড়ের ঘনত্ব বাড়ে। এর ফলে বেশি বয়সেও হাড় ভাল থাকে। মাঝেমধ্যে লাফালে-ঝাঁপালে, শরীর মোচড়ালে হাড় ভাল থাকে। বাস্কেটবল, মার্শাল আর্ট, দৌড়ানোর মতো ভারবাহী ব্যায়াম করতে হবে। ভাল ব্যায়াম-সূচিতে অবশ্য সব ধরনের ব্যায়াম থাকা উচিত, যাতে হৃৎপিণ্ডের অবস্থা ভাল থাকে। হাঁটাচলা বা হালকাচালে ব্যায়াম করলে বিশেষ উন্নতি হবে না। কম ওজন নিয়ে ব্যায়াম করলেও একই ফল হবে। বেশি ওজন নিয়ে ব্যায়াম করলে পেশি ও হাড়ের শক্তি বাড়বে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে। তখন জটিল অস্ত্রোপচারের ধাক্কাও সামলানো সহজ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy