কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পরেও পুনরায় সংক্রমণের আশঙ্কাও থেকে যাচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
২০২০ সাল থেকে যে ভাইরাসের সঙ্গে পৃথিবী লড়ে চলেছে, বর্তমানে তার সংক্রমণের হার অনেক বেশি হলেও উপসর্গ আগের চাইতে মৃদু। তবে, কোভিডের নয়া রূপ ওমিক্রন আক্রান্তের হার যথেষ্ট বেশি। শ্বাসযন্ত্রের পাশাপাশি কোভিডের প্রভাব পড়ছে হৃদযন্ত্র, কিডনি, এমনকি মস্তিষ্কেও। শুধু তাই নয়, ভাইরাস-মুক্ত হওয়ার পরেও ‘লং কোভিডে’ ভুগছেন অনেকে। এমনকি কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পরেও পুনরায় সংক্রমণের আশঙ্কাও থেকে যাচ্ছে।
কোভিডের পুনরায় সংক্রমণের আশঙ্কা কতটা সত্য?
এক বার কোভিড আক্রান্ত হলে পুনরায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কার কথা চিকিৎসকরা প্রথম স্ফীতি থেকেই বলে আসছেন। পুনঃসংক্রমণের এই ঘটনা প্রথম নজরে আসে প্রথম কোভিড তরঙ্গে হংকংয়ের ৩৩ বছর বয়সি এক জন ব্যক্তির সূত্র ধরে। প্রথম আক্রান্ত হওয়ার প্রায় ১৪২ দিন পরে ওই ব্যক্তি ফের করোনা সংক্রমিত হয়েছিলেন।
কেন বৃদ্ধি পাচ্ছে পুনঃসংক্রমণের আশঙ্কা?
মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কোভিডের মতো শক্তিশালী ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার জন্য যথেষ্ট নয়। এক বার সংক্রমিত হওয়ার পরে প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে ভাইরাস আরও সহজে নতুন করে আক্রমণের সুযোগ পেয়ে যায়। দু’টি টিকা নেওয়া থাকলেও এই পরিস্থিতিতে বুস্টারের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বুস্টার এই ভাইরাসের সঙ্গে যথাযথ ভাবে লড়াই করতে সক্ষম।
এ ছাড়াও কোভিডের ভাইরাস মূলত নাক ও গলা দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে। শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় নাক অথবা গলায় প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। ফলে ভাইরাস সহজেই দ্বিতীয় বার প্রবেশ করতে পারে মানবদেহে। বিশেষ করে ওমিক্রনের এই সাম্প্রতিকতম স্ফীতিতে এই পথেই পুনঃসংক্রমণের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তবে অনেকেই মনে করছেন যে, এই দ্বিতীয় বারের সংক্রমণ হয়তো প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। কিন্তু এই ধারণার আদৌ বাস্তব কোনও ভিত্তি আছে কি না, তা স্পষ্ট করেননি চিকিৎসকরা। কারণ কারও কারও একাধিক বার আক্রান্ত হওয়ার উদাহরণও প্রচুর। মূলত আক্রান্ত হওয়ার প্রায় ৯০ দিনের মাথায় দ্বিতীয় বার সংক্রমিত হতে বেশি দেখা যাচ্ছে।
অতি সাম্প্রতিকতম তথ্যের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে যে, এখনও পর্যন্ত ৬ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ দু’বার করে কোভিড সংক্রমিত হয়েছেন।
দ্বিতীয় বারের কোভিড সংক্রমণ কি আগের চেয়ে শক্তিশালী হতে পারে?
দ্বিতীয় বার কোভিড আক্রান্ত হলে শারীরিক উপসর্গ আগের বারের চেয়ে কিছুটা হলেও মৃদু থাকছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। প্রথম বারের সংক্রমণে যদি যদি ৪৪ শতাংশ সক্রিয় উপসর্গ থাকে, তা হলে পুনঃসক্রমণের ক্ষেত্রে সেটা হয়ে যাচ্ছে ২০ শতাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy