শরীরে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ হলেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময়ে অনেকেরই শ্বাসকষ্ট হয়। একটু বেশিক্ষণ হাঁটাহাটি করলেও অনেকের শ্বাস নিতে বেশ কষ্ট হয়। বিষয়টি খুব বিরল— এমনটা নয়। এমনিতেই সকলের ফুসফুস আর হৃদ্যন্ত্রের ক্ষমতা সমান হয় না। যাঁদের ফুসফুস এবং হৃদ্যন্ত্র দুর্বল, অল্প পরিশ্রমেই তাঁদের শ্বাসকষ্ট হয়। কোভিডের কারণেও অনেকের এই রকম সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যাঁরা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের অনেকের ফুসফুসের ক্ষমতা কমেছে। ফলে অল্প পরিশ্রমেই তাঁরা হাঁপিয়ে পড়ছেন।
অ্যালার্জি, হাঁপানি, হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা, ফুসফুসের রোগ, নিউমোনিয়া, স্থূলতা, যক্ষ্মা ইত্যাদি ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট হওয়া স্বাভাবিক। শরীরে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ হলেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। রাতে ঠিক মতো ঘুম না হলেও নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হয়। এ ছাড়া কিডনির অসুখে ভুগলেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। নিউমোনিয়ার প্রধান উপসর্গই শ্বাসকষ্ট। ফুসফুসের যত বেশি অংশ আক্রান্ত হবে, শ্বাসকষ্ট ততই প্রকট হবে। ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিসের কারণেও একই ধরনের সমস্যা হয়।
অনেকেই মনে করেন, শ্বাসকষ্ট মানেই হাঁপানি। কিন্তু সব শ্বাসকষ্ট হাঁপানি নয়। হাঁপানি হলে বিশেষ ধরনের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এটি হঠাৎ করে শুরু হয়। একই সঙ্গে কাশি ও বুকের ভিতর শ্বাস বন্ধ ভাব অনুভূত হয়। এ ক্ষেত্রে চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে। বিভিন্ন পরীক্ষা করে তিনিই বলতে পারবেন আদৌ আপনার হাঁপানি আছে কি না।
শ্বাসকষ্টের সঙ্গে যদি ক্লান্তি, বুকে ব্যথা, গা হাত পায়ে ব্যথা কিংবা অতিরিক্ত নাক ডাকার সমস্যা বাড়ে-তা হলে অবশ্যই বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়লে দীর্ঘ দিন ফেলে রাখবেন না। শ্বাসকষ্ট হলে হাঁপানি ভেবে নানা ধরনের ওষুধ না খেয়ে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এ ক্ষেত্রে ধূমপান এড়িয়ে চলুন। ধুলোবালি ও দূষণ থেকে দূরে থাকুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy