স্বাদের দিক থেকে চিনির সুযোগ্য উত্তরসূরি হতে পারে কবাব চিনি। ছবি: সংগৃহীত।
বাঙালি হেঁশেলে চিনি ইদানীং কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় তো রয়েছেই সেই সঙ্গে ঘরে ঘরে ডায়াবেটিকের সংখ্যাও বাড়ছে। আর এই দুই ক্ষেত্রেই চিনি হল শত্রু। ফলে ওজন এবং রক্তে শর্করার মাত্রা দুই-ই নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিনি খাওয়া বন্ধ করা ছাড়া উপায় নেই। বিকল্প হিসাবে অনেকেই অবশ্য সুগার ফ্রি খান। তবে কৃত্রিম উপায়ে তৈরি সেই মিষ্টির স্বাদ মনে থেকে যাওয়া মতো নয়।
বরং স্বাদের দিক থেকে চিনির সুযোগ্য উত্তরসূরি হতে পারে কবাব চিনি। ভেষজ এই উপাদান অবশ্য স্বাস্থ্যগুণের দিক থেকে চিনিকে দু’গোল দেয়। কবাব, পোলাওয়ের মতো বাহারি রান্নায় এই চিনির ব্যবহার হয়। কবাব চিনি দিয়ে রাঁধলে খাবারের স্বাদও বেড়ে যায়। তবে শুধু স্বাদের যত্ন নেয় এই চিনি, তা নয়। শরীর ভাল রাখতেও এর জুড়ি মেলা ভার। গলা খুসখুস থেকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা, সমাধান লুকিয়ে সেই কবাব চিনিতেই। চিকিৎসকেরাও সর্দি-কাশি হলে কবাব চিনি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু ডায়াবেটিকরা কি এই চিনি খেতে পারেন? গবেষণা বলছে, পারেন। ডায়াবিটিস থাকলেও কবাব চিনি খাওয়ায় কোনও বাধা নেই। কবাব চিনি বরং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাতেও ভারসাম্য বজায় রাখে এই চিনি।
শুধু ডায়াবেটিকরা নন, রোগা হওয়ার পর্বেও অনায়াসে খাওয়া যায় কবাব চিনি। কারণ এতে কার্বোহাইড্রেট নেই। ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ারও ভয় নেই কোনও। তবে কবাব চিনির গুণের শেষ নয় এখানেই। এই চিনিতে রয়েছে ফেনোলিক অ্যাসিড, ফ্ল্যাভোনয়েডস, বেনজোয়িক অ্যাসিড, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফেরসের মতো উপাদান। যা শরীর ভিতর চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে। প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এমনকি লিভারের রোগের ঝুঁকি কমাতেও বেশ উপকারী এই চিনি। বর্ষায় ইউটিআই-এর ঝুঁকি বেশি থাকে। কবাব চিনি মূত্রনালির সংক্রমণ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
খারাপ এবং ভাল— সব জিনিসেরই দু’রকম গুণ থাকে। কবাব চিনিও তার ব্যতিক্রম নয়। কবাব চিনি সকলের জন্যেও উপকারী নয়। অ্যালার্জির সমস্যা, গ্যাসট্রিক আলসার, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা থাকলে কবাব চিনি এড়িয়ে চলাই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy