ছবি: সংগৃহীত।
শীতের রোদে পিঠ দিয়ে কমলালেবু খাওয়া বাঙালির শীতযাপনের অন্যতম বিলাসিতা। এমনিতে গ্রীষ্মের চড়া রোদে দু’দণ্ড স্থির হওয়া যায় না। তার চেয়ে শীতের মিষ্টি রোদে দাঁড়ালে কাঁপুনিও খানিকটা কমে। আবার রোদ থেকে ভিটামিন ডি-ও পায় শরীর। কিন্তু শীতকালে দিন ছোট, দীর্ঘ রজনী। ফলে ঠান্ডায় খুব বেশি সময় রোদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলার সুযোগ থাকে না। সেই কারণে শীতে শরীরে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ কমতে থাকে। আর এই ভিটামিনের ঘাটতি থেকে নানা শারীরিক সমস্যাও দেখা দেয়। সেই পরিস্থিতি এড়াতে সুস্থ থাকার বিকল্প পথের হদিস রইল।
ভিটামিন কে বেশি খাওয়া
হাড় শক্তিশালী এবং মজবুত রাখে ভিটামিন ডি। তবে ভিটামিন ডি-র পর্যাপ্ত জোগান না থাকলে ভরসা করা যেতে পারে ভিটামিন কে-র উপর। হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। সেই সঙ্গে ভিটামিন ডি-র মতো হার্টের যত্নেও সমান কার্যকরী ভিটামিন কে। তাই শীতে পালংশাক, ব্রকোলি, লেটুসের মতো ভিটামিন কে সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে পারলে ভাল।
ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট
সূর্যের আলো থেকে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ডি শোষণ করে শরীর। কিন্তু শীতে রোদ বিশেষ থাকে না। তাই শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাব ঘটে। সেই অভাব পূরণ করতে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খাওয়া যেতে পারে। তবে সাপ্লিমেন্টের সঙ্গে খেতে হবে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার। অ্যাভোকাডো, সামুদ্রিক মাছ, বাদামে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। সাপ্লিমেন্টের সঙ্গে এই খাবারগুলিও খাওয়া জরুরি।
ম্যাগমেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান
ম্যাগনেশিয়াম হল ভিটামিন ডি-র অন্যতম বিকল্প। তাই ভিটামিন ডি-র ঘাটতি মেটাতে ম্যাগনেশিয়াম ভরসাযোগ্য হয়ে উঠতে পারে। ম্যাগনেশিয়াম ভিটামিন ডি-র মতোই হাড়ে ক্যালশিয়াম এবং ফসফেট জোগাতে পারে। ঠান্ডায় যদি ডাল, টোফু, ডার্ক চকোলেট বেশি করে খাওয়া যায়, তা হলে ভিটামিন ডি-র অভাবজনিত সমস্যা হবে না। কারণ এই খাবারগুলিতে ম্যাগনেশিয়াম আছে ভরপুর পরিমাণে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy