ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লেই গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা বাড়ে। ছবি: শাটারস্টক
হাঁটতে গেলেই মায়ের পায়ে তীব্র যন্ত্রণা হয়। পায়ের আঙুলে ব্যথা, হাঁটলেই গোড়ালিতে জ্বালা-ষন্ত্রণা কিংবা শরীরের অস্থিসন্ধি ফুলে গিয়ে বেহাল অবস্থা— শারীরিক এই অসুবিধা মায়ের কাছে নতুন নয়। মাঝেমধ্যে যন্ত্রণা আরও বেড়ে যায়। দিন কয়েক আগে এক প্রকার জোর করেই রক্ত পরীক্ষা করে জানা গেল, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ভালই বেড়েছে।
কর্মব্যস্ত জীবন ও খাদ্যাভ্যাসে অনিয়মের যে সব অসুখকে আরও বড় আকারে ডেকে আনছে, তার মধ্যে অন্যতম হল রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়া। এমনিতে খাবার থেকে উৎপন্ন ইউরিক অ্যাসিড রক্তে মিশে তা কি়ডনিতে গিয়ে পৌঁছয়। কিডনি এই দূষিত পদার্থকে ছেঁকে মূত্রের মাধ্যেম দেহের বাইরে বার করে দেয়। কিন্তু শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ভীষণ বেড়ে গেলে তখন কিডনির পক্ষে সেই অতিরিক্ত অ্যাসিডকে বার করা সম্ভবপর হয় না। ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে জমতে থাকে ইউরিক অ্যাসিড, তখনই গাঁটে গাঁটে শুরু হয় যন্ত্রণা। অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসই এর জন্য মূলত দায়ী। কোন কোন সব্জি পাতে রাখলে এই সমস্যা আরও বাড়বে?
টম্যাটো: বাঙালি খাবারে টম্যাটোর চল খুব বেশি। সাধারণ ডাল হোক কিংবা পাঁঠার মাংস রানানার স্বাদ ও রং ভাল করতে লাগে এই সব্জি। এতে ডায়েটরি ফাইবার বেশি মাত্রায় থাকে। টম্যাটোতেও অক্সালেটের মাত্রা বেশি। তাই ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের চিকিৎসকরা এই সব্জিটি না খাওয়ার পরামর্শ দেন।
পালং শাক: পালং শাকে ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন ও খনিজ থাকে। এ ছাড়াও থাকে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। পালং শাকে রয়েছে অক্সালেট, যা শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ায়। তাই ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা শরীরে বেশি থাকলে এই শাক না খাওয়াই ভাল।
ঢ্যাঁড়শ: অনেকেই ঢ্যাঁড়শ খেতে খুব ভালবাসেন। তবে এই সব্জি বেশি মাত্রায় খেলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিড মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে ঢ্যাঁড়শ এড়িয়ে চলাই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy