ওমিক্রনের কারণে যে তৃতীয় ঢেউ এসেছিল দেশে, এই সংক্রমণ তারই অংশ। ছবি: সংগৃহীত।
গত কয়েক দিন ধরে দেশে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ। বিগত দু’সপ্তাহে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৫ হাজার পেরিয়েছে। দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রে নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হওয়ার খবরে বাড়ছে উদ্বেগ।এটি অতিমারির নতুন কোনও স্ফীতি কি না, তা নিয়েও চিন্তিত হয়ে পড়েছেন অনেকে। তবে চিকিৎসকরা অবশ্য জানাচ্ছেন, ওমিক্রনের কারণে যে তৃতীয় ঢেউ এসেছিল দেশে, এই সংক্রমণ তারই অংশ। কোভিড সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান জানালেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কার প্রয়োজন নেই এখনই। সংক্রমণের হার বাড়ছে। তবে তা নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই বলেই জানাচ্ছে এই কমিটি।
চিন্তার কারণ না থাকলেও সুরক্ষিত থাকতে হবে। কারণ অন্য শহরগুলিতে যে হারে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তাতে যে কোনও দিন কলকাতার চিত্রটিও একই রকম হতে পারে। তাই সাবধানে এবং সতর্ক থাকা প্রয়োজন বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। কোভিড সংক্রান্ত নিয়মাবলি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
সাধারণ সর্দিকাশি এবং ফ্লু, গলাব্যথা, হাঁচি, কাশি, কফ, পেশিতে ব্যথা— এই উপসর্গগুলি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন অধিকাংশ রোগী। তবে করোনার প্রকৃতি বদলের পাশাপাশি উপসর্গতেও এসেছে কিছু পরিবর্তন। শ্বাস নিতে অসুবিধা, বমি, ডায়েরিয়া, ত্বকে ফুসকুড়ি, আঙুল এবং পায়ের ত্বক বিবর্ণ হয়ে যাওয়া, পা ফুলে যাওয়ার মতো কিছু নতুন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে কোভিডের ক্ষেত্রে। হাসপাতালগুলির দেওয়া রিপোর্ট বলছে, যাঁরা কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁরা ১-২ দিন ধরে জ্বর, গলাব্যথা, মাথাব্যথা, পেটে অস্বস্তির মতো সমস্যায় ভুগছেন।
করোনার ঝুঁকি এড়াতে চিকিৎসকরা মাস্ক পরতে বলছেন। বিশেষ করে গণপরিবহণে যাতায়াত করলে কিংবা খুব ভিড় কোনও জায়গায় গেলে মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক। সেই সঙ্গে বাইরে থেকে ফিরে পোশাক বদলে স্নান করে নেওয়া জরুরি। বাইরে কোনও খাবার খাওয়ার আগে ভাল করে স্যানিটাইজ়ার মেখে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy