হলুদের বিপক্ষে হলুদ! ছবি: সংগৃহীত।
হলুদের কাজ শুধু খাবার রাঙিয়ে তোলা নয়, শরীরের যত্নআত্তিতেও জুড়ি মেলা ভার। ত্বকের যত্ন থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি— হলুদের কোনও বিকল্প নেই। হার্টের রোগ থেকে সংক্রমণ, নানাবিধ রোগের অন্যতম দাওয়াই হল হলুদ। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, পলিফেনল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান সমৃদ্ধ হলুদ স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে। রান্নায় ব্যবহার করা ছাড়াও হলুদ বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে হলদি দুধ খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। আবার এমনি জলের সঙ্গে অল্প হলুদ মিশিয়েও খাওয়া যায়। তবে দুধের সঙ্গে না কি জলে গুলে, কী ভাবে দুধ খেলে বেশি উপকার পাবেন?
হলদি দুধের উপকারিতা
১) গরম দুধে এক চামচ হলুদ মিশিয়ে খেলে বাড়ে প্রতিরোধ ক্ষমতা। সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করার জন্য যে শক্তি চাই, তা জোগায় হলদি দুধ।
২) গ্যাসের সমস্যায় জেরবার? ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস হলদি দুধ খেতে পারেন। তবে রোজ না খেলেও চলবে। সপ্তাহে ২-৩ দিন যথেষ্ট।
৩) অনিদ্রার সমস্যা থাকলে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই পানীয়ে চুমুক দিতে পারেন। উপকার পাবেন। সারা রাত ছটফট করে বিছানায় পড়ে থাকতে হবে না।
৪) ত্বকের জন্যেও হলদি দুধ দারুণ উপকারী। ব্রণ দূর করা থেকে ত্বক মসৃণ করা— সবেতেই হলদি দুধের জুড়ি মেলা ভার।
হলুদ জল
১) শরীরের যেকোনও ব্যথা বেদনা দূর করতে সাহায্য করে হলুদ জল। হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান প্রদাহনাশক হিসাবে কাজ করে। ফলে বেদনায় কাতর হয়ে পড়ার আগে এই টোটকা খেতে পারেন।
২) হাড়ের যত্নেও হলুদ জলের বিকল্প নেই। হলুদের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হাড় মজবুত করে। হাড় যাতে কমজোরি হয়ে না পড়ে, তার জন্য এই পানীয় অতি অবশ্যই খেতে হবে।
৩) লিভার যত্নে রাখতেও খেতে পারেন এই পানীয়। লিভারে জমে থাকা যাবতীয় টক্সিন বাইরে বার করে দেয়। লিভার যত্নে থাকলে শরীর নিয়ে ভাবনা কমে যাবে।
হলুদ মাত্রেই শরীরের জন্য তা উপকারী। দুধে হোক কিংবা জলে, হলুদ মিশিয়ে খেলে সুফল মিলবে। তাই এর মধ্যে যেকোনও একটা খেতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy