ব্যথা যখন অল্প থাকে, তখন অনেকেই ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। প্রতীকী ছবি।
চল্লিশের কোঠা পার করেছেন কী করেননি, পিঠে-কোমরে ব্যথা এসে থাবা বসাতে শুরু করে। বিশেষ করে যাঁদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে বসে কিংবা দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয়, তাঁদের জীবনে ব্যথাকাতরতা যেন প্রাত্যহিক একটা ব্যাপার। এবং অনেকেই সেটাকে অবহেলা করেন। ব্যথা যখন অল্প থাকে, তখন অনেকেই ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। আর অবহেলার এই সময়টুকুতে ‘ব্যাকপেন’ রীতিমত গম্ভীর জায়গায় পৌঁছে যায়। এই ব্যথা সাধারণত ঘাড় থেকে শুরু হয়। তার পর তা কাঁধ, পিঠ এমনকি কোমর পর্যন্ত পৌঁছে যায়। ‘লো ব্যাক পেন’ অনেকেরই নিত্যদিনের সমস্যা। মেরুদণ্ডের একটা নির্দিষ্ট আকার রয়েছে। কিন্তু ঠিক ভাবে না বসলে ঠিক আকার বজায় থাকে না। আবার বেশি ক্ষণ সামনে ঝুঁকে বসলে কোমরে চাপ পড়ে। তা থেকেও এ ধরনের ব্যথা হয়। আবার অনেক ক্ষণ বসে থাকার ফলে কোমরের পেশির সঙ্কোচন এ ধরনের ব্যথার কারণ।
পিঠে, কোমরে ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ তো নেবেনই। তবে এই ধরনের ব্যথার কারণ মূলত জীবনযাত্রার ধরন। সুস্থ থাকতে কয়েকটি বিষয়ে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
নিয়মিত শরীরচর্চা
‘আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর মতে প্রতি দিন অন্তত ৩০ মিনিট করে শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। এর অন্যথা হলেই এমন ব্যথা-বেদনার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। হাঁটাহাঁটি, যোগাসন ধারাবাহিক ভাবে করা প্রয়োজন। এর সঙ্গে ভিটামিন ডি, আছে এমন খাবার রোজকার পাতে রাখা প্রয়োজন। এ ছাড়াও ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টও খেতে পারেন। তবে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ শুনে।
ধূমপান থেকে বিরত থাকা
সাম্প্রতিক একটি গবেষণা জানাচ্ছে, ধূমপান কোমরে ব্যথার কারণ হতে পারে। ধূমপানের অভ্যাস ধমনির ক্ষতি করে। অস্টিয়োপোরেসিস-এর মতো সমস্যারও আশঙ্কা বাড়ায় ধূমপান। শরীর ভাল রাখতে তাই ধূমপান এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
সুষম খাবার খাওয়া
রোজের পাতে কী রাখছেন, তার উপর নির্ভর করে আপনার শরীর কেমন থাকবে। কোমরে ব্যথার মতো সমস্যা কমাতে ভিটামিন ডি-সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান। ডিম, মাংস, দুধ, পনির, ফল, মাছের তেল— এমন কিছু খাবার না খেলেই নয়। পুষ্টিকর খাবার খান, ব্যথা-বেদনা থেকে দূরে থাকুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy