ঘরের ভিতরে আর্দ্রতা কম থাকলেও কিন্তু অ্যালার্জি হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
করোনা আতঙ্ক অনেকটাই স্তিমিত। মুখে মাস্ক পরা নিয়ে তেমন কড়াকড়ি নেই। তা সত্ত্বেও বাইরে বেরোলে ‘মুখোশ’ পরেই বেরোন। কারণ, বাইরের ধুলো-ধোঁয়া, ধূলিকণা থেকে অ্যালার্জিজনিত হাঁচি-কাশি হয়। তা ছাড়া বাতাসে নানা ধরনের মাইট, মোল্ড এবং পোলেন থাকে। সেই সব থেকেও অ্যালার্জি হতে পারে। কারও কারও সেখান থেকেই শ্বাসযন্ত্রের নানা রকম সমস্যা হয়। মাস্ক পরলে এই ধরনের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, এই একই রকম সমস্যা কিন্তু বাড়িতে থাকলেও হতে পারে। বাড়িতে তো সারা ক্ষণ মাস্ক পরে থাকতে পারবেন না। তা হলে কী করবেন?
১) ঘরের মেঝেতে পাতা কার্পেট, রাগ্স, পর্দার গায়ে ধুলোর স্তর জমে থাকে। বাতাসে সেই ধুলো-ময়লা উড়ে চারিদিকে ছড়াতে থাকে। সেখান থেকেও কিন্তু অ্যালার্জি হয়। ভারী বলে হয়তো নিয়মিত ধোয়া সম্ভব হয় না। সে ক্ষেত্রে ভ্যাকিউম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করা যেতে পারে। তবে পরিষ্কার করার সময়ে অবশ্যই মুখে মাস্ক পরে নেবেন।
২) ঘরের ভিতর আর্দ্রতা নষ্ট হলেও অনেক সময়ে এই ধরনের সমস্যা দেখা যায়। গরমকালে ঘরে বেশির ভাগ সময়ে এসি চলে। যা ঘরের বাতাস আরও শুষ্ক করে তোলে। অ্যালার্জির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ঘরে আলো-বাতাস প্রবেশ করার ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন।
৩) অ্যালার্জিজনিত সমস্যা এড়াতে নিয়মিত বিছানার চাদর, বালিশের খোল পরিষ্কার রাখতে হবে। বিশেষ করে যাঁদের বাড়িতে পোষ্য রয়েছে, তাঁদের আরও বেশি সচেতন থাকতে হবে। চাদর, তোশকের পাশাপাশি সম্ভব হলে অন্তত পক্ষে সপ্তাহে এক দিন গদিও পরিষ্কার করতে হবে।
৪) ঘর সাজানোর জন্য অনেকেই ছোট-বড় নানা রকম সফ্ট টয় রাখেন। কৃত্রিম তুলো, ফার দিয়ে তৈরি সেই সব পুতুল জড়িয়ে ধরে ঘুমোতেও ভালবাসেন অনেকে। সফ্ট টয়ের গায়েও কিন্তু ধুলো জমে। সেখান থেকেও অ্যালার্জি হতে পারে। তাই সেগুলি পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন।
৫) ঘরের মধ্যে ধূপ-ধুনো জ্বালালে কিংবা ধূমপান করলে সেই ধোঁয়া থেকেও অনেকের অ্যালার্জি হয়। তাই ঘরের মধ্যে এই ধরনের জিনিস না জ্বালানোই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy