শীত তো প্রায় চলেই গিয়েছে। বাতাসে তেমন শুষ্কও ভাব নেই। তবু ত্বক থেকে সমানে খোসা উঠছে। কাজ থেকে বাড়ি ফিরে ত্বকের যত্ন নিচ্ছেন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মুখে নিয়ম করে ক্রিম, ময়েশ্চারাইজ়ারও মাখছেন। তবু সমস্যা যে কে সেই। ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গেলে শুধু তো বাইরে থেকে যত্ন করলে হবে না। পুষ্টির জোগানও দিতে হবে সঠিক মাত্রায়। চিকিৎসকেরা বলছেন, শরীরে ভিটামিন ই-র অভাব হলে তার প্রভাব আগে এসে পড়ে ত্বকে। কী ধরনের সমস্যা হতে পারে জেনে নিন।
আরও পড়ুন:
১) ত্বকের আর্দ্রতা:
ভিটামিন ই ত্বকের ময়েশ্চার ব্যারিয়ার ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাই পরিমাণমতো জল খাওয়া এবং নিয়মিত যত্ন নেওয়ার পরেও যদি ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে, সে ক্ষেত্রে ধরে নেওয়া যেতে পারে, ভিটামিন ই-র অভাব হচ্ছে।
২) অ্যান্টি-এজিং উপাদান:
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের নিজস্ব প্রোটিন, অর্থাৎ কোলাজেন উৎপাদনের পরিমাণ কমতে থাকে। ফলে চামড়া ঝুলে যাওয়া, বলিরেখা পড়া, জেল্লা কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। অস্বাস্থ্যকর খাবার, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, দূষণের কারণে ইদানীং অল্পবয়সিদের মধ্যেও এই ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, রক্তে ভিটামিন ই-র অভাব থাকলে কোলাজেন তৈরির প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। সুতরাং ত্বকে এমন কোনও সমস্যা হতে দেখলে এই ভিটামিনের মাত্রা পরীক্ষা করিয়ে দেখা যেতে পারে।
৩) অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ:
শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যালের সমতা বিঘ্নিত হলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বেড়ে যায়। ফলে ত্বক নিষ্প্রভ হয়ে পড়ে। এই ধরনের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে শরীরে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের জোগান থাকা জরুরি। ভিটামিন ই আসলে শক্তিশালী এক প্রকার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। যার অভাবে ত্বকের জেল্লা হারিয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন:
খাবারের মাধ্যমে ভিটামিন ই-র ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ভিটামিন ই কমবেশি অনেক খাবারেই রয়েছে। তবে কাঠবাদাম এবং সূর্যমুখী ফুলের বীজে এই ভিটামিনের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া বাদাম এবং বীজে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটও। যে কারণে সামগ্রিক ভাবে ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।