প্রতি দিন বাজারে খোঁজ করলেই যে করমচা পাবেন, তেমনটা নয়। তবে বর্ষা-শেষে বা পুজোর আগের সময়টাতে এই ফল বেশি চোখে পড়ে। কাঁটা, গুল্মজাতীয় গাছে ফিকে লাল কিংবা গোলাপি রঙের ফল ধরলে দেখতেও সুন্দর লাগে। আম, কুল, তেঁতুল, কামরাঙার পাশাপাশি করমচা দিয়েও চাটনি বানানোর চল রয়েছে। করমচার পুষ্টিগুণও কম নয়। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ভিটামিন সি-তে ভরপুর এই ফল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করতেও সাহায্য করে। এ ছাড়াও এই ফলে রয়েছে আয়রন, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, কপারের মতো খনিজ। শারীরবৃত্তীয় নানা কাজের জন্য প্রয়োজনীয় এই সব উপাদান রয়েছে করমচায়। এই ফল খেলে কী কী উপকার হবে?
আরও পড়ুন:
১) রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করে:
মরসুম বদলের সময়ে ব্যাক্টেরিয়াঘটিত নানা রকম রোগের প্রকোপ বাড়ে। সংক্রমণের ঝুঁকি এ়ড়াতে এই সময়ে সস্তার করমচা খেতে পারেন। ভিটামিন সি, বি এবং আয়রনে ভরপুর এই ফল প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
২) হজম ভাল হয়:
বর্ষাকালে অনেকেই পেটের সমস্যায় ভোগেন। অনেকের হজমশক্তিও দুর্বল হয়ে পড়ে। করমচায় ‘পেকটিন’ নামক একটি উপাদান রয়েছে। যা আসলে এক ধরনের সহজপাচ্য ফাইবার। পেটের সমস্যার বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে এই ফলটি।
আরও পড়ুন:
৩) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে:
সামগ্রিক ভাবে হার্ট ভাল রাখতে সাহায্য করে করমচা। হার্টের ধমনীতে মেদ বা ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল জমতে দেয় না। ফলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের উপাদান থাকায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে এই ফল।
কী ভাবে খাবেন করমচা?
করমচা খুব টক। তাই শুধু খেতে সমস্যা হতে পারে। চাটনি কিংবা আচার হিসাবে করমচা খাওয়ার চল রয়েছে। চাইলে ডাল কিংবা তরকারিতেও টম্যাটোর বদলে করমচা দেওয়া যায়।