দেহে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেলেই কপালে ভাঁজ পড়ে। ছবি: সংগৃহীত।
অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে শরীরে বাসা বাঁধে খারাপ কোলেস্টেরল। কোলেস্টেরল আসলে এক ধরনের মেদ যা কোষের পর্দা তৈরি করে ও তাকে বাইরের চোট-আঘাত থেকে বাঁচায়। আরও নানা জৈবিক কাজকর্মের জন্যও কোলেস্টেরল প্রয়োজন। ‘এইচডিএল’ এবং ‘এলডিএল’ মানুষের দেহে মূলত এই দু’ধরনের কোলেস্টেরল পাওয়া যায়। এর মধ্যে দ্বিতীয়টি খারাপ। দেহে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেলেই কপালে ভাঁজ পড়ে। রক্তে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পেলে বাড়তে থাকে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা। সাধারণত, তেল-মশলা জাতীয় খাবারের আধিক্য, শরীরচর্চায় অনীহা, প্রক্রিয়াজাত খাবার, অ্যালকোহল, মানসিক চাপ ইত্যাদির কারণে শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ে। ভয় তখনই। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিকিৎসকেরা ওষুধ খেতেও পরামর্শ দেন। তবে সব ওষুধেরই তো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। ওষুধ নির্ভর না হয়ে ভরসা রাখতে পারেন ঘরোয়া তিন উপকরণে।
১) ফ্ল্যাক্স সিড
হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি আ্যসিড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফ্ল্যাক্স সিডে আলফা-লিনোলেনিক নামক একটি যৌগ রয়েছে, যা আসলে এক প্রকার ওমেগা-৩ ফ্যাটি আ্যসিড। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, এই উপাদানটি রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে বিশেষ ভাবে কার্যকরী। ফ্ল্যাক্স সিড জলে ভিজিয়ে সেই জল খেলেও কাজ দেবে। আবার স্মুদির সঙ্গে ফ্ল্যাক্স সিড মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে।
২) দারচিনি
বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে, দারচিনি কোলেস্টেরলের মতো হৃদ্রোগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এমন অনেক রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম। প্রতি দিন সকালে খালি পেটে উষ্ণ জলের সঙ্গে এক চিমটে দারচিনি মিশিয়ে খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বশে রাখতে সাহায্য করে।
৩) ধনে
বিভিন্ন রান্নায় মশলা হিসেবে ধনে গুঁড়ো ব্যবহার করা হয়। ধনের ভেষজ গুণও কিন্তু কম নয়। ধনের গোটা বীজ জলে ভিজিয়ে খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বশে রাখা সম্ভব। এ ছাড়াও বিপাকহার, ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণেও ধনে যথেষ্ট উপকারী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy