ঘরোয়া টোটকায় শুকনো কাশি নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
পুজো আসতে না আসতেই ভোরের বাতাসে বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা আমেজ টের পাওয়া যাচ্ছে। কাজ থেকে ঘেমে নেয়ে ফিরে গায়ে একটু জল না ঢাললেই নয়। রাতে এসি ছাড়া ঘুমোতেও অসুবিধে হচ্ছে। আবার ভোরের দিকে শীত করছে বলে কাঁথা মুড়ি দিচ্ছেন। বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রাও কিন্তু কমতে শুরু করে এই সময় থেকেই। নাক, মুখ দিয়ে দেদার প্রবেশ করতে থাকে দূষিত বায়ু। শিল্পাঞ্চলগুলিতে এই ধরনের সমস্যা আরও বেশি। পুজোর সময়ে শুকনো কাশির সমস্যা বাড়ছে ঘরে ঘরে। সারা দিন যদিও বা গার্গল করে কাশি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন, কিন্তু রাতে শুতে গেলে তার দাপট যায় বেড়ে। তবে ঘরোয়া তিন টোটকায় এই ধরনের কাশি নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে।
১) হলুদ
হলুদের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ লবণ, ফসফরাস, ক্যালশিয়াম, লোহা প্রভৃতি। তাই হলুদ খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শুকনো কাশির জন্য হলুদ খুব কার্যকরী। এক কাপ দুধের মধ্যে ১ চা চামচ হলুদ মিশিয়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে খেতে পারেন। শুকনো কাশি কমাতে হলে হলুদের রস খেয়ে নিন কয়েক চামচ।
২) আদা
গলার খুসখুসে ভাব দূর করতে আদা দারুণ কাজ করে। ২ কাপ জলে কিছুটা আদা কুচি দিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে এর সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে খেলেই গলার খুসখুসে ভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আদা-মধুর অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান গলার গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া কমায় এবং জীবাণু সংক্রমণ ঠেকাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, আদা দিয়ে জল ফুটিয়ে, সেই জল দিয়ে গার্গল করতে পারলেও উপকার মিলবে। গার্গল করার আধ ঘণ্টা আগে ও পরে কোন খাবার খাবেন না এবং কম কথা বলবেন । তা হলে অবশ্যই উপকার মিলবে।
৩) রসুন
রসুনে অ্যালিসিন নামে একটি যৌগ থাকে, যা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল হিসাবে পরিচিত। রসুন চিবিয়ে খেলে অ্যালিসিন সক্রিয় হয়। এগুলি রক্তের শ্বেতকণিকার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়, ফলে সাধারণ সর্দি-কাশি যে ভাইরাসের জন্য হয়, সেগুলির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। তাই প্রতি দিন একটি করে রসুনের কোয়া খেতে পারলে সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy