হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে উচ্চ রক্তচাপের কারণে। ছবি: সংগৃহীত
অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা, খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম, নিজের যত্ন নেওয়ার সময়ের অভাবে শরীরে বাসা বাঁধছে নানা অসুখ। বিশেষজ্ঞদের মতে, সময় যত গড়াচ্ছে তত বেশি করে প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়ছে মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রযুক্তি নির্ভরতা ওবেসিটি, থাইরয়েড এবং কোলেস্টেরলের সমস্যার মতো নানা ব্যাধির জন্ম দিচ্ছে। এই সমস্যাগুলি থেকেই জন্ম নিচ্ছে হৃদ্রোগ।
১) উচ্চ রক্তচাপ: আজকাল অনেকেই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগে থাকেন। রক্তচাপ খুব বেশি বেড়ে গেল শরীরে নানা রকম জটিলতা তৈরি হয়। মানসিক চাপ উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম কারণ। এ ছাড়া খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম, বেহিসাবি জীবনযাপনও উচ্চ রক্তচাপের নেপথ্যে রয়েছে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না রাখলে স্ট্রোক বা হৃদ্যন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়ার মতো গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে। হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে উচ্চ রক্তচাপের কারণে। উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা উপরে ১৪০/৯০ স্বাভাবিক। তবে এর মাত্রা যদি ১৮০/১২০-এর বেশি হয় তা হলে, তা শরীরের পক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ।
২) কোলেস্টেরল: রক্তে দুই ধরনের কোলেস্টেরলে থাকে—১) লো ডেনসিটি কোলেস্টেরল (এলডিএল) ২) হাই ডেনসিটি কোলেস্টেরল (এইচডিএল)। এলডিএল শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল নামে পরিচিত। ধমনীতে এই খারাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পেলে হৃৎপিণ্ড, মস্তিষ্ক, কিডনির রক্ত প্রবাহকে হ্রাস করে। সেই সঙ্গে বাড়িয়ে তোলে হৃদ্রোগের ঝুঁকিও।
৩) স্থূলতা: অতিরিক্ত ওজন হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা আরও বৃদ্ধি করে। ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর সমীক্ষা অনুসারে, শরীরের বাড়তি ওজন খারাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে আর ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে। স্থূলতার কারণে বাড়তে পারে হৃদ্রোগের ঝুঁকিও।
হৃদ্রোগের লক্ষণ:
১) বুকে ব্যথা ও অস্বস্তি।
২) নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট।
৩) পিঠ, ঘাড়, পেট-সহ শরীরের উপরের অংশে ব্যথা ও অস্বস্তি।
৪) ঘাম হওয়া, হালকা মাথাব্যথা।
এই উপসর্গগুলি দেখা দিলে দেরি না করে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy