খাদ্যাভ্যাসের ভুলত্রুটির কারণে বেড়ে যেতে পারে এই সমস্যা। ছবি: সংগৃহীত
সাধারণত বয়স্করা গাঁটের ব্যথার সমস্যায় বেশি ভোগেন। তবে যে কোনও বয়সিদের মধ্যেই এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। গাঁটের ব্যথার কারণে হাঁটা-চলার স্বাভাবিক গতি কমে আসে। কর্মদক্ষতাও হ্রাস পায়। এই ব্যথাকে অবহেলা না করে শুরু থেকেই সতর্ক হওয়া ভীষণ জরুরি। এই পরিস্থিতিতে জীবনযাপন থেকে শুরু করে খাদ্যাভ্যাসেও অনেকটাই বদল আনতে হবে। অনেক ক্ষেত্রেই খাদ্যাভ্যাসের ভুলত্রুটির কারণে বেড়ে যেতে পারে এই সমস্যা।
গাঁটের ব্যথায় খাদ্যাভাসে কী কী পরিবর্তন আনবেন?
খাদ্যতালিকায় প্রোবায়োটিক জাতীয় খাবারের আধিক্য কমান
দই, ছাঁচ, আচার ইত্যাদি খাবার প্রোবায়োটিকের ভাল উৎস। এই খাদ্যগুলি শরীরের কর্টিসলের মাত্রা কমায়। ফলে অবসাদ কমে। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। তবে যে কোনও ব্যথায় ভুগলে এই ধরনের খাবার না খাওয়াই ভাল। ব্যথা বেড়ে যেতে পারে।
মিষ্টি জাতীয় খাদ্য বেশি খাওয়া ছাড়ুন
মিষ্টি শরীরের পক্ষে মোটেই ভাল নয়। মিষ্টি খেলে শরীরে অধিক পরিমাণে ক্যালোরি প্রবেশ করে। রক্তে শর্কারার মাত্রা বেড়ে যায়। যে কোনও মিষ্টি জাতীয় খাবার গাঁটের ব্যথার সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
ফাইবার না খাওয়ার অভ্যেস থেকে বেরিয়ে আসুন
সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে ফাইবার জাতীয় খাবার আপনাকে খেতেই হবে। খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার না থাকলে গাঁটের ব্যথা আরও বাড়বে। তাই সতর্ক থাকুন।
প্রক্রিয়াজাত খাবারের উপর নির্ভরশীলতা কমান
প্রক্রিয়াজাত খাবার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। এই ধরনের খাবার দীর্ঘ দিন ভাল রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়াও এই রকম খাবারে অতিরিক্ত মাত্রায় নুন ও চিনি ব্যবহার করা হয়। গাঁটের ব্যথার সমস্যা থাকলে এই খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।
অতিরিক্ত মদ্যপান একেবারেই নয়
মদ্যপান গাঁটের ব্যথার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই মদ্যপান না করাই ভাল।
অত্যধিক ভাজাভুজি খাওয়া বন্ধ করুন
অত্যধিক ভাজাভুজি খেলে ওজন বাড়বেই। ওজন বেড়ে গেলে শরীরের নানা রোগব্যধি বাসা বাঁধে। ওজন বাড়লে হাঁটুর উপরে চাপ পড়ে। ফলে গাঁটের ব্যথা আরও বেড়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy