গান শুনলে কী কী উপকার হবে জানেন। ছবি: ফ্রিপিক।
গান শুনলেই শান্ত হবে মন। পছন্দের সুরে কাটবে হতাশা। ব্যথা–বেদনায় ভারাক্রান্ত মানুষ সাময়িক ভাবে হলেও চনমনে হয়ে উঠবে। গান শোনার উপকারিতা যে কত, তা একবাক্যে মানেন চিকিৎসকেরাও। অনিদ্রার রোগীর চোখে নেমে আসতে পারে শান্তির ঘুম৷ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় জেরবার মানুষ খুঁজে পেতে পারেন তাঁর সমস্যার হাল!
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত গান শুনলে মন এবং মস্তিষ্কের ভিতরে ‘সুখী’ হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে শরীরের তো বটেই, মনের অসুখবিসুখও কাছ ঘেঁষতে পারে না। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার চাবিকাঠিও আছে গানের মধ্যে।
নিয়মিত গান শোনার উপকারিতা কী কী?
উদ্বেগ কমবে
গানের সুর মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস অবধি পৌঁছয়। এটিই হল সব আবেগের কেন্দ্র। গানের সুরে হাইপোথ্যালামাস উদ্দীপিত হয়, কর্টিসল নামে ‘স্ট্রেস হরমোন’-এর ক্ষরণ কমে যায়। অতিরিক্ত উৎকণ্ঠাও বশে আসে। ফলে মনের যত রোগব্যধি তা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
রক্তচাপ কমে
হৃদস্পন্দন, নাড়ির গতি ও রক্তচাপ যদি বেড়ে যায়, তা হলে তা কমতে পারে গানের সুরেই। এক–আধ বারেই কষ্ট একেবারে কমে যায় এমন নয়, তবে দীর্ঘমেয়াদি অসুখের প্রকোপ থেকে রেহাই পাওয়া যায়। কারণ মন যত ভাল থাকবে, সুখী হরমোনের ক্ষরণ যত বাড়বে, ততই শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলি স্বাভাবিক ভাবে কাজ করবে। শরীরে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রাও ঠিক থাকবে।
জব্দ হবে অনিদ্রা
পছন্দের গান বা সুর স্রেফ শুনে যান৷ দিনে বার চারেক মিনিট ১৫ করে শুনলেই হবে৷ একটানা শুনতে পারলে ভাল৷ না হলে খাওয়ার সময়, কাজের ফাঁকে, ঘুমনোর আগে শুনতে পারেন। হালকা সুরই শুনতে হবে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, গানের সুরে ঘুম ভাল হয়। ঘুমের সময় মাথায় হাবিজাবি চিন্তা, উদ্বেগ আসে না।
বাতের ব্যথাতেও আরাম হবে?
বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের মতো কষ্টকর অসুখেও বিশেষ ভূমিকা আছে গানের। তাই তো এখন মিউজিক থেরাপির দিকে এত জোর দেওয়া হচ্ছে হাসপাতালগুলিতে। কেবল মনের চাপ কমানো নয়, বাতের ব্যথা-বেদনায় কাতর রোগীকেও আরাম দিতে পারে গান।
স্মৃতিশক্তি বাড়ায়
গান শুনলে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অঞ্চল সক্রিয় হয়। স্নায়ুর চাপ কমে। স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়। মনোযোগ ও একাগ্রতা বাড়ে। যে কোনও কাজেই উৎসাহ পাওয়া যায়।
একাকীত্বের সঙ্গী
একাকীত্বের সঙ্গী হতে পারে গান। একা কোনও সফরে থাকলে অথবা দীর্ঘ পথযাত্রায় মন ভাল রাখে গান। কোনও কারণে অবসাদ হলে অথবা অনেকের মাঝেও একা বোধ হলে গান শুনুন। নিমেষে মনের মেঘ কেটে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy