আরজি করের ঘটনা প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য ট্রাভেল ব্লগারের। —নিজস্ব চিত্র।
কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় বইছে। গোটা কলকাতা শহর বিক্ষোভ-আন্দোলনে উত্তাল। প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই পথে নেমেছেন চিকিৎসক থেকে সাধারণ মানুষ। শহর থেকে শহরতলি, দিকে দিকে চলছে জমায়েত, কর্মসূচি। এমন অস্থির পরিস্থিতিতে যখন সুবিচারের দাবিতে সুর চড়িয়েছে গোটা দেশ, তখনই এক নেটপ্রভাবীর পোস্ট ঘিরে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ট্র্যাভেল ব্লগার তানিয়া খানিজো তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে আরজি করের ঘটনার প্রসঙ্গেই এমন একটি পোস্ট লিখেছেন, যা দেখেই তেলেবেগুনে চটেছেন নেটাগরিকেরা। তীব্র প্রতিবাদ করা হচ্ছে তাঁর বক্তব্যের।
বিজ্ঞাপনী সংস্থার কাজ ছেড়ে দেশ-বিদেশে ভ্রমণ সংক্রান্ত নানা ব্লগ করেন তানিয়া। লক্ষাধিক ফলোয়ার রয়েছে তাঁর। দেশের পর্যটন নিয়ে প্রচারও চালান তিনি। সম্প্রতি কলকাতায় চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা নিয়ে দেশের মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তানিয়া। বিদেশে তাঁর বন্ধুদের উদ্দেশে একটি পোস্ট লিখেছেন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে। সেখানে তানিয়া বলেছেন, “ভারতে মহিলাদের কোনও নিরাপত্তাই নেই। বিদেশে আমার সকল বন্ধুকে বলছি, দয়া করে এ দেশে আসবেন না। মহিলাদের জন্য যত দিন না নিরাপদ পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, তত দিন এ দেশে আসা আপনাদের জন্যই বিপজ্জনক।”
তানিয়ার এই পোস্টের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন অনেকে। শান্তি স্বরূপ নামে এক ব্যক্তি পাল্টা মন্তব্য করেছেন, “নিজেকে ভারতীয় বলে পরিচয় দিতে লজ্জা হওয়া উচিত আপনার। একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নিয়ে গোটা দেশের নিরাপত্তাকে কাঠগোড়ায় তোলা দেশদ্রোহিতার সমান। যে রাজ্যে এক জন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন, সেখানে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে গোটা দেশকেই অসম্মান করেছেন আপনি।”
তাতে অবশ্যই তানিয়াকে থামানো যায়নি। নিজের বক্তব্যে অবিচল থেকেই প্রত্যুত্তরে তিনি লিখেছেন, “আমি আমার বক্তব্যে স্থির আছি। মহিলাদের জন্য পরিস্থিতি তত দিনই বদলাবে না, যত দিন না কড়া শাস্তির বিধান হচ্ছে। দেশের নানা প্রান্তে গিয়ে আমিও অনেক অপ্রিয় পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি। সব জায়গার ছবিটাই এক। আমি মনে করি না, মেয়েরা এ দেশে সম্পূর্ণ নিরাপদ।” তানিয়ার প্রশ্ন, “নিজের বাড়ি পরিষ্কার না করেই কি অতিথিদের নিমন্ত্রণ করেন? আমি তো করি না। তাই যত দিন না এমন অবিচার বন্ধ হচ্ছে, তত দিন প্রবাসী মহিলাদের এ দেশে আসাই উচিত নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy