গ্রিন টি-র মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি। ছবি: সংগৃহীত।
সকালে ঘুম থেকে উঠে কিংবা কাজের ফাঁকে কিংবা বাড়ি ফিরে সারা দিনের ক্লান্তি কাটাতে ধোঁয়া ওঠা এক কাপ চায়ে চুমুক না দিলেই নয়। দুধ, চিনি, ছোট এলাচ, লবঙ্গ দেওয়া চা খেতে ভাল লাগলেও স্বাস্থ্য সচেতনদের অবশ্য গ্রিন টি খাওয়ার প্রবণতা বেশি। কারণ, এই গ্রিন টি-এর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি। যা বিপাকহার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ওজন ঝরানোর জন্য শরীরচর্চা, ডায়েট যেমন জরুরি, তেমন এই প্রক্রিয়ায় অনুঘটকের মতো কাজ করে গ্রিন টি। তবে অতিরিক্ত গ্রিন টি খাওয়া কিংবা টি ব্যাগ ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কমানো থেকে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখা— এক পানীয়ে এমন নানাবিধ উপকারের আশায় গ্রিন টি খাওয়ার ঝোঁক বেড়েছে। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, কোনও কিছুই তো অতিরিক্ত খাওয়া ভাল নয়। সকালে একেবারে খালি পেটে খাওয়া মোটেই ভাল নয়। কারণ, গ্রিন টি খাওয়া মাত্রই পাকস্থলীতে অ্যাসিড ক্ষরণের হার বেড়ে যায়। পরিপাক করার মতো যথেষ্ট খাবার না থাকায় আলসার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়াও চা গাছের গোড়ায় ফ্লুরাইড নামের একটি উপাদান থাকে। বেশি মাত্রায় গ্রিন টি খেলে ফ্লুরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যা দাঁত এবং হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।
সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, গরম জলে টি ব্যাগ দেওয়া মাত্রই তা থেকে মাইক্রোপ্লাস্টিক নির্গত হতে শুরু করে। চায়ের জলে ওই বিষাক্ত পদার্থ মিশলে সেখান থেকে ক্যানসারের মতো মারণরোগ হতে পারে। বেশ কিছু টি ব্যাগের মধ্যে অ্যালুমিনিয়ামের উপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে এই উপাদান শরীরে জমতে থাকলে স্নায়ুর রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy