Advertisement
০৭ অক্টোবর ২০২৪
teenage Diet Plan

কৈশোরে পা দিয়েছে সন্তান? রোজের পাতে কোন কোন খাবার রাখলে অসুখবিসুখ দূরে পালাবে?

বয়ঃসন্ধির ছেলেমেয়েদের বাইরের খাবারের প্রতি ঝোঁকই বেশি। পিৎজ়া-বার্গার দেখলে আর বাড়ির খাবার মুখে তুলতে চায় না। ফলে শরীরও দুর্বল হচ্ছে, আর অপুষ্টিজনিত কারণে নানা অসুখবিসুখ লেগেই থাকছে।

The best diet for teens to support growth

বয়ঃসন্ধিতে ডায়েট কেমন হবে, পরামর্শ দিলেন পুষ্টিবিদ। ছবি: ফ্রিপিক।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:১৯
Share: Save:

সদ্য কৈশোরে পা দিয়েছে সন্তান? এই সময়টাতে ওদের খাওয়াদাওয়ায় বিশেষ নজর দিতে হবে। বয়ঃসন্ধির ছেলেমেয়েদের বাইরের খাবারের প্রতি ঝোঁকই বেশি। পিৎজ়া-বার্গার দেখলে আর বাড়ির খাবার মুখে তুলতে চায় না। তার উপর এখন মেদ ঝরিয়ে রোগা হওয়ার হিড়িক উঠেছে। অনেকেই না জেনেবুঝে শুধুমাত্র নেটমাধ্যম দেখেই চটজলদি রোগা হওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম ডায়েট মেনে চলা শুরু করেছে। ফলে শরীরও দুর্বল হচ্ছে, আর অপুষ্টিজনিত কারণে নানা অসুখবিসুখ লেগেই থাকছে।

এই বিষয়ে পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী বলছেন, “ছোটরা ভালমন্দ খেতে চাইবেই। পছন্দের খাবার খেয়েও শরীর সুস্থ রাখা যায়। তার জন্য নিয়ম মেনে চলতে হবে। বাইরের খাবার না দিয়ে বরং বাড়িতেই তেমন খাবার বানিয়ে দিলে খুব ভাল হয়। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার বানিয়ে দিতে হবে। মিষ্টির বদলে বিভিন্ন রকম মরসুমি ফলের স্মুদি দিয়ে দিয়ে দেখুন না, আয়েশ করে খাবে। ঘরের সাধারণ খাবারই যদি ভাল করে সাজিয়ে গুছিয়ে দেন, তা হলেই সোনামুখ করে খেয়ে নেবে সন্তান।”

পুষ্টিবিদ বলছেন, বিভিন্ন রকম ডায়েট প্ল্যান বেরিয়ে গিয়েছে এখন। সেগুলি সকলের পক্ষে মেনে চলা সম্ভব নয়, আবার খরচসাপেক্ষও। অনেকেই বুঝতে পারেন না, বাড়িতে রান্না করা রোজের খাবার পরিমিত খেয়েই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় আবার প্রয়োজনীয় পুষ্টিও পাওয়া যায়। বয়ঃসন্ধির ছেলেমেয়েকে ঘরের সুষম খাবারই দিতে হবে। প্রথম থেকেই ডায়েট চার্ট ধরিয়ে দিলে তার পুষ্টিই ছিকমতো হবে না। ফলে বুদ্ধির বিকাশও থমকে যাবে।

সকালে ঘুম থেকে উঠে কোনও একরকম ডিটক্স পানীয় দিতেই হবে। সে মৌরী-মেথি ভেজানো জল হতে পারে, উষ্ণ জলে লেবুর রস বা মরসুমি ফলের টুকরো ভেজানো জল হতে পারে। গ্যাস-অম্বলের ধাত থাকলে লেবুর রস না খাওয়াই ভাল। ছোট থেকেই বেশি চা বা কফিতে অভ্যস্ত করাবেন না। বদলে প্রাতরাশে দুধ-কর্নফ্লেক্স বা দুধ-ওট্‌স দিতে পারেন। একঘেয়ে খেতে না চাইলে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দোসা, ইডলি, পোহা দিতে পারেন। যে কোনও মরসুমি ফল দিনে একটি বা দুটি খেতেই হবে। ফলের মধ্যে আপেল, নাশপাতি, পেঁপে, আঙুর, জাম, আনারস খুব ভাল।

দুপুরের খাবারে ভাত, ডাল, শাকসব্জি, মাছ, মাংস বা ডিমের মধ্যে যে কোনও একটি রাখতেই হবে। সবই থাকবে পরিমিত পরিমাণে। সব্জি থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবার পাওয়া যাবে, আর মাছ, মাংস বা ডিম থেকে প্রোটিন ও ফ্যাট। ওজন খুব বেশি হলে এক কাপ ভাতের সঙ্গে রুটি দিতে পারেন, অথবা ব্রাউন রাইস। সন্ধেবেলা ভাজাভুজির বদলে ছাতু, অথবা দই-খই বা দুধ-কর্নফ্লেক্স খেতে পারে। রাতের খাওয়া সারতে হবে সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে। হাতে গড়া দুটি রুটি, সঙ্গে এক বাটি চিকেন স্ট্যু, অথবা মাছের ঝোল খেতে পারেন। নিরামিষের মধ্যে পনির বা সয়াবিনের তরকারি অথবা সব সব্জি মিশিয়ে তরকারি বানিয়ে দিতে পারেন। রুটি শুধু আটার না খেয়ে আটার সঙ্গে ওট্‌স মিশিয়ে নিলে ভাল হয়। কিন্তু ময়দা একেবারেই চলবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Diet Tips Diet Plan Weightloss Healthy Foods
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE