প্রতীকী ছবি
বিগত কয়েক বছরে এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যুর ঘটনা। অপরিমিত জীবনযাপনের কারণে পাল্লা বেড়ছে হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যাও। যার পরিণতি হিসেবে অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োজন হচ্ছে জরুরি পরিষেবার। এবার প্রশ্ন হল এই জরুরি পরিষেবা কী? ঠিক কোন ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় জরুরি পরিষেবার? জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়গুলির দিকে খেয়াল রাখা উচিত? এই সমস্ত বিষয়গুলিতে আলোকপাত করলেন ঢাকুরিয়া এএমআরআই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কনসালটেন্ট চিকিৎসক শাশ্বতী সিংহ।
যে সমস্ত রোগী জটিল ব্যাধিতে আক্রান্ত, কিংবা যে সকল রোগীর জীবন ধারণের জন্য জটিল চিকিৎসার প্রয়োজন; তাঁদেরকেই সাধারণত জরুরি পরিষেবা প্রদান করা হয়। কোনও দুর্ঘটনা, হৃদযন্ত্রে সমস্যা, স্ট্রোক অথবা জটিল কোনও অ্যালার্জি জাতীয় সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে, এই সমস্ত রোগীরা মূলত আপৎকালীন চিকিৎসা বিভাগেই আসেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, এই সমস্ত বিভাগের রোগীদের ইন্দ্রিয়গুলি নিজস্ব কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। ফলে তাঁদের ইন্দ্রিয়গুলি সচল রাখার জন্য অতিরিক্ত সাহায্যের প্রয়োজন হয়। ঠিক এই পরিস্থিতিতেই জরুরি পরিষেবা অর্থাৎ ক্রিটিক্যাল কেয়ারের প্রয়োজন।
রোগীর যে সব প্রয়োজনীয় ইন্দ্রিয়গুলি কার্যকারিতা হারিয়েছে সেগুলিকে চিকিৎসাজনিত সাহায্য ও প্রতিনিয়ত খেয়াল রাখাই জরুরি পরিষেবার প্রধান অংশ। এই ধরনের পরিষেবা শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা বিভাগেই সম্পন্ন করা সম্ভব। রোগীর অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে তবেই তাকে বিপন্মুক্ত ভাবা হয় এবং জেনারেল ওয়ার্ডে আনা হয়।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তির দৌলতে জরুরি পরিষেবা বিভাগের কার্যক্রম অনেকটাই সহজতর হয়েছে। ঢাকুরিয়া এএমআরআই হাসাপাতালের জরুরি পরিষেবা বিভাগ রোগীর যথাযথ পরিচর্যার নিরিখে অত্যন্ত সক্রিয় এবং দায়িত্বশীল। এখানকার চিকিৎসক, নার্স, কুশলী প্রত্যেকেই সুদক্ষ ও সংশ্লিষ্ট রোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী সিদ্বান্ত নিতে সক্ষম। ডায়ালেসিস, ভেন্টিলেশন, ইসিএমও; যে কোনও পরিস্থিতিতে, যে কোনও পরিষেবার ক্ষেত্রেই তারা তৎপর।
বলাবাহুল্য, করোনাকালে এই জরুরি পরিষেবা বিভাগের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকে কঠিন লড়াই করে অনেক মানুষকেই মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছেন। সেই সব মৃত্যুঞ্জয়ী মানুষেরা এই মুহূর্তে নিজেদের পরিবারের সঙ্গে সুখেই আছেন। তাদের সুখের আড়ালে আছে ঢাকুরিয়া এএমআরআই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের স্বাস্থ্যকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রম।
ডিসক্লেইমার: এই প্রতিবেদনটি ‘ঢাকুরিয়া এএমআরআই হাসপাতালের' সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy