উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স। ছবি: সংগৃহীত
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে খোঁজ মিলছে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগীর। বিশ্ব জুড়ে ৭৫টি দেশে ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র তরফে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ নিয়ে গোটা বিশ্বে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
আমেরিকার ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পশু থেকে মানুষে কিংবা মানুষ থেকে মানুষে স্পর্শের মাধ্যমে ছড়াতে পারে এই রোগ। আক্রান্তের ক্ষত কিংবা দেহ তরলের সংস্পর্শে আসা জামা-কাপড় থেকেও ছড়িয়ে পড়তে পারে রোগ। তা হলে মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এলে বা এই রোগের কোনও উপসর্গ দেখা দিলে কী করণীয়?
১। প্রথমেই করাতে হবে পরীক্ষা। পুণের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি’-সহ ভারতের মোট ১৫টি ল্যাবরেটরিতে এই ভাইরাস চিহ্নিতকরণ করা সম্ভব। ভারতে তৈরি কিটও তৈরির কথা চলছে। কাজেই জ্বর, ক্লান্তি, গা ব্যথা, লসিকা গ্রন্থি ফুলে যাওয়া ও ত্বকে ক্ষত তৈরির মতো উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।
২। মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ সাধারণত রোগ সংক্রমণের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে দেখা যায়। কাজেই যদি এই ভাইরাসে আক্রান্ত কারও সংস্পর্শে এসে থাকেন, তবে আগে ভাগে আলাদা থাকা যেতে পারে।
৩। আলাদা থাকার পাশাপাশি, স্নানের গামছা, তোয়ালে পৃথক করতে হবে। একই খাটে শোয়া কিংবা একই পোশাক পরা থেকেও বিরত থাকতে হবে। যত ক্ষণ না পরীক্ষার ফল হাতে আসছে, তত ক্ষণ সতর্কতা হিসাবে এই পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি, কী কী উপসর্গ দেখা দিচ্ছে, তা জানাতে হবে চিকিৎসককে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy