ছবি: সংগৃহীত।
গরমে সাধারণ বাড়ির কাজ করতেই প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে যাচ্ছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেয়েও যেন পিপাসা মিটছে না। তার উপর ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে নানা রকম খনিজ বেরিয়ে যাচ্ছে বলে সহজে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। শরীরচর্চার পাট এক রকম শিকেয় উঠেছে। এ দিকে শুয়েবসে ভুঁড়ি তো আকারে বড় হয়েই চলেছে। তবে, পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ভরসা রাখতে পারেন শসা দিয়ে তৈরি বিশেষ এক পানীয়ে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই পানীয় দারুণ উপকারী। সারা দিন ধরে অল্প অল্প করে শসা ভেজানো জল খেলে ঘন ঘন খিদে পাওয়ার প্রবণতা কমে। শসাতে ফাইবার এবং জলের পরিমাণ বেশি। এই দু’টি উপাদান অনেক ক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি রাখে।
শসা ভেজানো জল খেলে আর কী উপকার হয়?
এই পানীয়ের ক্যালোরি অত্যন্ত কম। তাই বাজারজাত অন্যান্য কৃত্রিম পানীয় কিংবা ফলের রসের চেয়ে এটি ভাল। শসা ভেজানো জলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন কে এবং সি, যা সামগ্রিক ভাবে শরীর ভাল রাখে। হজমশক্তি উন্নত করে। এ ছাড়া রয়েছে পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং বিটা-ক্যারোটিন। শসার মধ্যে ‘কিউকারবিটাসিন’ নামক বিশেষ একটি প্রদাহনাশক রয়েছে। এই সমস্ত উপাদান শরীরের জন্য ভাল। শরীরে জমা ‘টক্সিন’ দূর করতেও সাহায্য করে এই পানীয়।
কী ভাবে তৈরি করবেন শসা ভেজানো জল?
উপকরণ:
১টি শসা কুচি করে কাটা
অর্ধেক পাতিলেবু
৭-৮টি পুদিনা পাতা
১ লিটার জল
পদ্ধতি:
কাচের বোতলে শসা কুচি, লেবুর টুকরো এবং পুদিনা পাতা দিয়ে জল ভরে নিন। খাওয়ার আগে অন্তত ১-২ ঘণ্টা বোতলটি ফ্রিজে রেখে দিন। সারা দিন ধরে এই পানীয় অল্প অল্প করে খেতে থাকুন।
এই পানীয়ের স্বাদ আরও বাড়িয়ে তুলতে চাইলে দারচিনি, আদা কিংবা কয়েকটি বেসিলও দিতে পারেন। এই পানীয়ের গুণ বাড়বে যদি ফিল্টার কিংবা ডিসটিল্ড ওয়াটার ব্যবহার করা যায়।
কাদের জন্য এই পানীয় নিরাপদ নয়?
শসা ভেজানো বা ‘ইনফিউস্ড’ জল পানে সাধারণত মারাত্মক কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে, যাঁদের ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম (আইবিএস) রয়েছে, ঘন ঘন অম্বল হয় কিংবা কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাঁদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই পানীয় খাওয়া উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy