ছবি: সংগৃহীত।
এই গরমে আর হেঁশেলে ঢুকতে ইচ্ছে করছিল না। তাই অনলাইনে ‘ফিশ থালি’ অর্ডার করেছিলেন। যথাসময়ে দরজায় খাবার সরবরাহকারী বন্ধু হাজির। প্যাকেট খুলতেই চোখে পড়ল সুন্দর করে সাজানো সব পদ। এক দিকে ভাত, ডাল, শুক্তো। অন্য দিকে মাছের ঝাল আর চাটনি। পাশে আলাদা করে দেওয়া রয়েছে স্যালাড, পাঁপড় এবং টক দই।
গরমে টক দই খাওয়া ভাল তা সকলেই জানেন। গরমে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করতে নিয়মিত ছাস, ঘোল কিংবা লস্যি খান অনেকে। তবে, গরমে কিন্তু হামেশাই ডায়েরিয়া বা হজমের গোলমাল দেখা যায়। এই সমস্যা বশে রাখতে গেলে টক দই খেতে হবে খাবার খাওয়ার পরে।
খাবার খাওয়ার পর টক দই খেলে কী কী উপকার হবে?
১) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে
দই খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, সে কথা ভুল নয়। কিন্তু দুপুরের খাবার খাওয়ার পর দই খেলে তবেই মিলবে এই সুফল। টক দই কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়। এই হরমোনের বেশি ক্ষরণ হলে স্থূলতার ঝুঁকি থাকে।
২) রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাল করে
রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি জোগায় টক দই। দই খাওয়ার অন্যতম উপকারিতা এটাই। শরীর সুস্থ রাখতে তাই দই খাওয়ার সত্যিই কোনও বিকল্প নেই। নিয়ম করে দই খেলে শীতকালীন অনেক রোগবালাইয়ের সঙ্গে সহজেই লড়াই করতে পারবেন।
৩) হজমের গোলমাল ঠেকাতে
টক দইয়ে রয়েছে প্রোবায়োটিক উপাদান। এই উপাদান পেটের খেয়াল রাখতে সত্যিই দারুণ উপকারী। টক দইয়ে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান হজমের গোলমাল দূরে রাখে। গ্যাস-অম্বলের ঝুঁকি কমাতেও টক দই খাওয়া জরুরি।
৪) রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে
রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে টক দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য টক দই মহৌষধি। চিকিৎসকেরাও টক দই খেতে বলে থাকেন। রক্তচাপের মাত্রা কমাতে টক দই সত্যিই ওষুধের মতো কাজ করে।
৫) ত্বক এবং চুলের জন্য ভাল
টক দইয়ের মধ্যে রয়েছে ল্যাক্টিক অ্যাসিড। যা ত্বকে প্রাকৃতিক ‘এক্সফোলয়েটর’ হিসাবে কাজ করে। শুধু তা-ই নয়, টক দইয়ের মধ্যে থাকা প্রোটিন এবং ভিটামিন মাথার ত্বকেও পুষ্টি জোগায়। চুলের জেল্লা বজায় রাখতেও সাহায্য করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy