ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের অন্যতম উৎস হল কুমড়োর বীজ। ছবি: সংগৃহীত
ফের বাড়ছে করোনার দাপট। এই সময় রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে নজর দিতে বলেছেন চিকিৎসকরা। আর তাই বেশি করে শাকসব্জি খেতে বলছেন তাঁরা। কুমড়ো অনেকেরই পছন্দের সব্জি। আবার কেউ একেবারেই পাতে নেন না। পুষ্টিবিদদের মতে, কুমড়ো ভিটামিন এ-এর একটি সমৃদ্ধ উৎস। ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও বাড়ায়। শুধু কুমড়োই নয়, এর বীজগুলিও পুষ্টিগুণে ভরপুর। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের অন্যতম উৎস হল কুমড়োর বীজ। তাই এটি ফেলে দেওয়ার আগে চিন্তা করা জরুরি।
রোজের খাদ্যতালিকায় কেন রাখবেন কুমড়োর বীজ?
১) কুমড়োর বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম আর জিঙ্ক যা অস্টিওপোরেসিসের মতো হাড়ের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
২) খাবার হজম করতেও দারুণ কার্যকরী এই বীজ। এতে থাকা উচ্চ ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করে।
৩) কুমড়োর বীজে রয়েছে ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড। যা অক্সিটোসিন হরমোন ক্ষরণে সহায়তা করে। একই সঙ্গে মেলাটোনিন আর সেরোটোনিন নিঃসৃত হতে সহায়তা করে। যা অবসাদ কাটিয়ে শরীর, মন তরতাজা করে তুলতে সাহায্য করে। শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করতেও এটি দারুণ উপকারী।
৪) কুমড়োর বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, সালফার, জিঙ্ক, ভিটামিন এ, বি আর কে, যা চুল উজ্জ্বল ও ঘন করে তুলতেও সহায়তা করে। এতে রয়েছে কিউকারবিটিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড যা চুল বাড়তে সাহায্য করে।
৫) কুমড়োর বীজে রয়েছে সেরাটোনিন নামের রাসায়নিক উপাদান। যা স্নায়ুতন্ত্রের চাপ কমিয়ে অনিদ্রার সমস্যা কাটাতে সাহায্য করে।
কী ভাবে খাবেন কুমড়োর বীজ?
এই বীজ রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন। তবে তার আগে বেটে নিতে হবে। এ ছাড়াও এটি অল্প সেঁকে বা কাঁচা খেলেও উপকার পেতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy