যাঁরা ধূমপান করেন তাঁদের এই পরিস্থিতিতে আরও বেশি সচেতন থাকাটা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত
দেশ এবং রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি ক্রমশই বাড়াচ্ছে উদ্বেগ। চিকিৎসকদের তরফে বারেবারে বলা হয়েছে সচেতনতা, সাবধানতা এবং সুস্থ জীবন যাপনের দ্বারা প্রতিরোধ করা যেতে পারে করোনা। এই বারের করোনা স্ফীতিতে উপসর্গগুলি ততটা সক্রিয় নয় ঠিকই। তবে কথায় আছে সাবধানের মার নেই। বিশেষ করে যাঁরা ধূমপান করেন তাঁদের এই পরিস্থিতিতে আরও বেশি সচেতন থাকাটা জরুরি। ধূমপানের অভ্যাস কি করোনার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে? ফুসফুসে বা কী রকম প্রভাব পড়তে পারে? আনন্দবাজার অনলাইনের কোভিড কালে ‘ভরসা থাকুক’ ফেসবুক ও ইউটিউব লাইভে এসে এই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দিলেন ফুসফুস বিশেষজ্ঞ সুস্মিতা চৌধুরী।
সুস্মিতা বললেন, ‘‘আমরা সকলেই জানি যে যাঁদের কো-মর্বিডিটি আছে অন্যান্যদের তুলনায় তাঁদের যেকোনও ধরনের ভাইরাস বা ব্যাকটিরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা কম থাকে। আমাদের শ্বাসনালীটা ঠোঁটের মতোই নরম। সেই শ্বাসনালীর মধ্যে এমন অনেক কোষ থাকে যেগুলি রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তোলে। ঘন ঘন ধূমপান করার ফলে সেই কোষগুলি পুড়ে যায়। ফলে ওই স্থানের প্রদাহ হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায় অনেকাংশে। তাই সুস্থ থাকতে ধূমপান না করাই উচিত।’’
দীর্ঘদিনের ধূমপানের অভ্যাস হঠাৎ করে ছেড়ে দিলে কতটা মেরামত হওয়ার আশা আছে?
সুস্মিতার উত্তর, ‘‘এটা তো মিরাক্ল নয় যে আজকে বন্ধ করে দিলে কাল থেকে সব ঠিক হয়ে যাবে। ধূমপানের ফলে আপনার ভিতরে যতটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেটা কিন্তু ভাল হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। চিকিৎসকরা বলেন যে সপ্তাহে এক বার মদ্যপান করতে পারেন। কিন্তু তাঁরা কখনও বলেন না যে সপ্তাহে এক দিন ধূমপান করুন। তবে এখন ধূমপান ছাড়লে যেটা হবে যে ক্ষতি যতটা হয়ছে ততটা পর্যন্ত থাকবে, ক্ষতিটা আর বেশি দূর এগোবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy