Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Pros and Cons of Air Conditioners

বৃষ্টির দিনে বাতানুকূল যন্ত্র চালিয়ে ঘুমোচ্ছেন? এই অভ্যাস কী কী রোগ ডেকে আনছে?

অনেকেই বলবেন, গরম হোক বা বৃষ্টির দিন, রাতে ঘরে এসি চলবেই। চারপাশের পরিবেশ ঠান্ডা হলেও এসি ছাড়া যেন ঠিক ঘুমই আতে চায় না। আর এই অভ্যাসই শরীরের চরম ক্ষতি করছে।

Sleeping with AC on, what are the side effects

দিনভর ঘরে এসি চললে তার কী কী প্রভাব পড়বে শরীরে। ছবি: ফ্রিপিক।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২৪ ১৪:১১
Share: Save:

এসি ছাড়া ঘুমোতেই পারেন না? এই অভ্যাস এখন অনেকেরই। সারাদিন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে কাজ। যাতায়াতের সময়টুকু বাদ দিলে, বাড়ি ফিরে আবারও এসি। রাতে ঘুমোবার সময়ে এসি না চালালে কেমন যেন সুখ হয় না। অনেকেই বলবেন, গরম হোক বা বৃষ্টির দিন, রাতে ঘরে এসি চলবেই। চারপাশের পরিবেশ ঠান্ডা হলেও এসি ছাড়া যেন ঠিক ঘুমই আতে চায় না। অভ্যাস এমনই হয়ে গিয়েছে। ঘর খুব বেশি ঠান্ডা হয়ে গেলে যন্ত্রের তাপমাত্রা খানিক বাড়িয়ে আর চাদরখানি গায়ে টেনে নিয়েই আরাম। ঘুম থেকে উঠে এসি বন্ধ করতে মন চায় না। আর এখানেই হচ্ছে সবচেয়ে বড় গন্ডগোল। রাতভর কৃত্রিম ঠান্ডায় শরীরে কী কী প্রভাব পড়ছে সে ব্যাপারে সচেতন নন অনেকেই। চলুন তা হলে জেনে নেওয়া যাক।

১) ফুসফুসের ক্ষতি সবচেয়ে বেশি নয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাতানুকূল যন্ত্রের কনকনে ঠান্ডায় থাকলে শ্বাসনালিতে মিউকাস জমতে থাকে। ফসে সর্দি-কাশির সমস্যা লেগেই থাকে। দেখবেন, সারা রাত এসিতে ঘুমোলে সকালে উঠে মনে হয় গা ম্যাজম্যাজ করছে। অনেকের হাঁচি-কাশিও হয়। সাইনাসের ধাত থাকলে তা আরও বেড়ে যেতে পারে।

২) অ্যালার্জি কেবল ধুলো-ধোঁয়া থেকে হয় তা নয়, ঠান্ডাতেও হতে পারে। আপনি হয়তো বুঝতেই পারছেন না, ভিতরে ভিতরে কী রোগ দানা বাঁধছে। হয়তো দেখলেন সকালে উঠে চোখ-মুখ ফুলে গিয়েছে। চোখ থেকে বা নাক দিয়ে অনবরত পড়ছে। হাঁচি একবার শুরু হলে আর থামতেই চাইছে না। দিনের পর দিন যদি এমন হতে থাকে, তা হলে বুঝতে হবে ‘কোল্ড অ্যালার্জি’ হয়েছে। দিনভর ঠান্ডা ঘরে থাকলে এমন হতে পারে।

৩) শুষ্ক চোখের সমস্যা মারাত্মক ভাবে বেড়ে যেতে পারে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ করার যন্ত্রটি ঘর ঠান্ডা করার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণও কমিয়ে দেয়। দেখবেন বেশি ক্ষণ ঠান্ডা ঘরে থাকলে চোখে চুলকানি হয়, চোখ জ্বালা করে। আর রাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এসি চললে চোখের আর্দ্রভাব কমে যায়, যার থেকে শুষ্ক চোখ বা ‘ড্রাই আইজ়’-এর সমস্যা হতে পারে।

৪) দীর্ঘ ক্ষণ এমন কৃত্রিম ঠান্ডা পরিবেশে থাকার ফলে ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া, ত্বকে ভাঁজ পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকের আর্দ্রভাব খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। শুধু ত্বক নয়, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের ঠান্ডা বাতাস ঠোঁটও রুক্ষ করে তোলে।

৫) পেশির ব্যথা ভোগাতে পারে। দীর্ঘ সময়ে কৃত্রিম ঠান্ডা পরিবেশে থাকলে রক্তনালি সঙ্কুচিত হয়। তখন পেশিতে টান ধরতে পারে। ফলে গা, হাত-পায়ে ব্যথা হতে পারে।

৬) মাইগ্রেনের ব্যথা ভোগাতে পারে। বেশি ক্ষণ ঠান্ডাতে থাকলে যাঁদের মাইগ্রেনের সমস্যা আগে থেকেই আছে, তাঁরা এসিতে বেশি ক্ষণ থাকলে মাথাব্যথা থেকে রেহাই মিলবে না সহজে।

৭) সিওপিডি-র সমস্যা থাকলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বেশি ক্ষণ থাকা ঠিক নয়। এসি-র ফিল্টার যদি পরিষ্কার না থাকে তা হলে সেই ধুলো-ময়লা ঢুকে ফুসফুসের ক্ষতি হতে পারে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy