ঘি খাওয়া ভাল, কিন্তু বেশি খেলে কী হবে? ছবি: ফ্রিপিক।
শুক্তো কিংবা মুগের ডাল, একটুখানি খাঁটি ঘি যোগ করলেই খাবারের স্বাদ-গন্ধ বদলে যায়। আর গরম ভাতের সঙ্গে গাওয়া ঘিয়ের মেলবন্ধন অতুলনীয়। লুচি হোক বা হালুয়া— ঘিয়ের মিশেলে সব পদের স্বাদই বদলে যায়।
ভারতীয় হেঁশেলে ঘিয়ের ব্যবহার দীর্ঘ দিনের। আসলে এর গুণও তো কিছু কম নয়! এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, প্রোটিন, ভিটামিন এবং রকমারি খনিজ। এতে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। শরীর সুস্থ রাখতে ঘি উপকারী বলেই কি পরোটা হোক বা মাংস, চামচ ভর্তি করে ঘি খাচ্ছেন? এতে কিন্তু বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে।
উপকারী বলেই, সেই জিনিসটি অতিরিক্ত খাওয়া যায় না। প্রতি দিন সমস্ত খাবারে মনের সুখে ঘি ঢাললে, অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে।
হার্টের অসুখ
পরিমিত ঘি খেলে যেমন হার্টের অসুখের ঝুঁকি কমে, ঠিক তেমনই ঘিয়ের অতিরিক্ত ব্যবহারে কার্ডিওভ্যাস্কুলার রোগের ঝুঁকি বাড়়ে। এমনকি, স্ট্রোকের সম্ভবনাও বাড়তে পারে। কারণ, এতে থাকে ‘স্যাচুরেটেড ফ্যাট’। অতিরিক্ত ফ্যাট হৃদ্রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। সারা দিনে ২ চামচের বেশি ঘি খাওয়া ঠিক নয়।
খারাপ কোলেস্টেরল
ঘিয়ে ভাজাভুজি বা ঘি চপচপে লুচি-পরোটাও কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। বরং অতিরিক্ত ঘি খেলে শরীরে ক্ষতিকর বা খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল)-এর মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
ওজন বৃদ্ধি
ঘিয়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। ফলে অতিরিক্ত ঘি দিনের পর দিন খেলে ওজন বশে রাখা সমস্যাজনক হতে পারে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘি খাওয়াও নিয়ন্ত্রিত হওয়া দরকার।
হজমের সমস্যা
হজমের সমস্যা থাকলে ঘি ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষত ভাজাভুজি খাবার। পেটফাঁপা, পেট ফোলা, অম্বল-গ্যাসের সমস্যায় ঘি এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
যকৃতের সমস্যা
লিভার বা যকৃতের সমস্যা থাকলেও ঘি বর্জন করতে হবে। ঘি-য়ে ফ্যাট থাকে। এই ধরনের সমস্যা হলে ফ্যাট জাতীয় জিনিস খাওয়া চলে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy