রোজ কেন এলাচ খাবেন? ছবি: শাটারস্টক।
বিরিয়ানি হোক কিংবা কচি পাঁঠার ঝোল— ফোড়নে এলাচ না পড়লে রান্নার স্বাদ ঠিক জমে না। পায়েসে এলাচ পড়লে তার স্বাদ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। মশলা চা হোক বা সাধারণ দুধ-চা— স্বাদ বৃদ্ধি করতে অনেকেই এলাচ ব্যবহার করেন। শুধু তা-ই নয়, খাওয়ার পর আবার অনেকেই মুখশুদ্ধি হিসাবে এলাচ খান। আবার অনেকে এমনও আছেন, যাঁদের খাওয়ার সময়ে এলাচ মুখে পড়লে মেজাজটাই বিগড়ে যায়!
জানেন কি, রান্না ছাড়াও নিয়মিত একটি করে এলাচ খেলে শরীরের কোন কোন সমস্যা দূর হতে পারে?
১) আদার মতোই এলাচও পেটের নানা সমস্যা এবং হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এই এলাচ। বিপাকতন্ত্রকেও সক্রিয় রাখে। কখনও বুক জ্বালা, বমি বমি ভাব হলে এলাচ চিবিয়ে নিন, কিছু ক্ষণেই স্বস্তি মিলবে।
২) দেহের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে দিতে এলাচের জুড়ি নেই। যাঁদের ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করেছে, তাঁরা নিয়মিত সকালে খালি পেটে এলাচ ভেজানো জল খেলে ত্বক টান টান হয়, বলিরেখা কমে, জেল্লাও বাড়ে।
৩) মধু, লেবুর রস ও গরম জলের সঙ্গে একটা এলাচ মিশিয়ে দিয়ে পান করলে শ্বাসকষ্ট দূর হবে। যাঁরা হুপিংকাশি, ফুসফুস সংক্রমণ, হাঁপানির সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্য এলাচ খুবই উপকারী।
৪) এলাচ হৃদ্রোগ নিরাময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিক রাখে ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়া এলাচ রক্তসঞ্চালনেও সহায়ক। প্রতি দিন এলাচ খেলে রক্তের ঘনত্ব সঠিক থাকে।
৫) মুখে খুব বেশি দুর্গন্ধ হয়? একটি এলাচ নিয়ে চিবোতে থাকুন। এলাচ মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়াগুলি ধ্বংস করে। এ ছাড়াও মাড়ির সংক্রমণ, মুখের ফোঁড়া-সহ দাঁত ও মাড়ির নানা সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
৭) অনেক সময় ভারী কোনও জিনিস তুলতে গেলেই পেশিতে টান ধরে। এ ক্ষেত্রে ছোট বা বড় এলাচ গরম জলে ফুটিয়ে খেলে তত্ক্ষণাত্ উপশম হয়।
৮) গরম জলে চা পাতা, এলাচ গুঁড়ো ও মধু দিয়ে ফুটিয়ে তৈরি করে নিন এলাচ চা। মাথাব্যথা করলে এক কাপ গরম এলাচ চা খেয়ে দেখুন। ব্যাথা নিমেষেই দূর হবে। এ ছাড়াও এলাচ মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে।
৯)এলাচ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর। সর্দিকাশির সমস্যাতেও এলাচ খেলেই সুফল পাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy