Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Nita Ambani's Diet

কয়েক মাসে ১৮ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন নীতা অম্বানী, মুকেশ-পত্নীর রোগা হওয়ার রহস্য কী?

জিমে গিয়ে নয়, একেবারে নিজের চেষ্টায় এক ধাক্কায় ১৮ কেজি ওজন ঝরিয়েছেন তিনি। কোন রুটিন মেনে চেহারা আমূল বদলে ফেলেছিলেন নীতা?

Nita Ambani’s Weight Loss Diet.

কী ভাবে রোগা হয়েছিলেন নীতা? ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:০১
Share: Save:

নীতা আম্বানী ৬০-এর কোঠা পেরিয়েছেন কয়েক বছর হল। মুকেশ-পত্নীর ফিটনেস দেখে অবশ্য তা বোঝার উপায় নেই। পারিবারিক অনুষ্ঠানে নাচে-গানে মাতিয়ে রাখেন তিনিই। অথচ কয়েক বছর আগেও এমন ছিলেন না তিনি। একটি সাক্ষাৎকারে নীতা জানিয়েছিলেন, বিয়ের সময় তাঁর ওজন ছিল ৪৫ কেজি। তিন সন্তানের মা হওয়ার পরেই নীতার ওজন বাড়তে শুরু করে। ওজন গিয়ে দাঁড়ায় ৯০ কেজিতে। বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত ছিলেন তিনি। তবে হাল ছাড়েননি। জিমে গিয়ে নয়, একেবারে নিজের চেষ্টায় এক ধাক্কায় ১৮ কেজি ওজন ঝরিয়েছেন তিনি। কোন রুটিন মেনে চেহারা আমূল বদলে ফেলেছিলেন নীতা?

নাচ

জিমে গিয়ে শরীরচর্চা নয়, নীতা ওজন কমাতে ভরসা রেখেছিলেন নাচে। নীতা এমনিতেই এক জন নৃত্যশিল্পী। বিয়ের আগে নাচটাই মন দিয়ে করতেন তিনি। ওজন কমাতেই তাই তিনি ফিরে গেলেন তাঁর ভালবাসার কাছে। বন্ধ ঘরের ও পারে রোজ কয়েক ঘণ্টা নাচের অনুশীলন করতেন। নাচ করেই ঘাম ঝরাতেন তিনি।

বিটের রস

খাওয়াদাওয়ার বাড়তি নজর দিয়েছিলেন ওজন কমাতে। রোজ সকালে উঠে খালি পেটে দু’গ্লাস বিটের রস খেতেন তিনি। বিটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরের মেদ গলিয়ে দেয়। আলাদা করে মেদ জমতে দেয় না বিট।

সবুজ শাকসব্জি

রোজের ডায়েটে মাছ-মাংস না থাকলেও সবুজ শাকসব্জি দিয়ে তৈরি খাবার থাকত। শাকসব্জিতে রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। মেদ গলিয়ে দেয়। সব্জিতে থাকা প্রোটিন, ফ্যাট, মিনারেলস ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।

Image of Beet juice.

রোজ সকালে উঠে খালি পেটে বিটের রস খেতেন নীতা আম্বানী। ছবি: সংগৃহীত।

ফল খাওয়া

রোগা হওয়ার ডায়েটে ফল থাকা বাধ্যতামূলক। এই পর্বে যত বেশি ফল খাওয়া যাবে, রোগা হওয়ার পথ তত মসৃণ হবে। নীতার সকালের জলখাবারে নানা ধরনের ফল থাকত। দুপুরের খাবার খাওয়ার পরেও একটি করে ফল খেতেন তিনি। মাঝেমাঝেই ফলের রস বানিয়েও খেতেন।

ডিটক্স পানীয়

সারা দিন ধরে অল্প অল্প করে লেবু, পুদিনা দিয়ে বানানো ডিটক্স পানীয়ে চুমুক দিতেন। এই পানীয় শরীর থেকে যাবতীয় টক্সিন বাইরে বার করে দেয়। গ্যাস, অম্বলের ঝুঁকি কমায়। হজমের গোলমাল থেকেও দূরে রাখে এই পানীয়। হজম ঠিকঠাক হলে ওজন কমানো অনেক সহজ হয়ে যায়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE