শেষমেশ মিলে গেল জ্যোতিষীর ভবিষ্যদ্বাণী। ছবি: সংগৃহীত।
জ্যোতিষী বলেছিলেন, তিনি আর বেশি দিন বাঁচবেন না। সেই জ্যোতিষীর দেওয়া চকোলেট খেয়েই মৃত্যু হল তরুণীর। ব্রাজ়িলের তরুণী ফার্নান্দা ভ্যালোজ পিন্টোর অকালমৃত্যু হয় এই বছরের অগস্ট মাসে।
ফার্নান্দার মৃত্যু পরিবারের সদস্যরা মেনে নিতে পারেননি। ফার্নান্দার বোন বিয়াঙ্কা ক্রিস্টিনা জানান, “দিদি ক্রমাগত বমি করছিল, দৃষ্টি ঘোলাটে হয়ে গিয়েছিল ওর, শরীরে কোনও সাড় ছিল না... কিছু ক্ষণের মধ্যেই ও আমাদের ছেড়ে চলে গেল।”
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন ফার্নান্দা এক মহিলাকে হাত দেখান। মাসিওর রাস্তায় এক বৃদ্ধা ফার্নান্দার হাত দেখতে চান। ফার্নান্দার হাত দেখে বৃদ্ধা বলেন, তাঁর হাতে আর বেশি সময় নেই, খুব শীঘ্রই তাঁর মৃত্যু হবে। এই সব বলার পর ফার্নান্দাকে একটি চকোলেট খেতে দেন বৃদ্ধা। ফার্নান্দার বোন জানান, ‘‘প্যাকেটে মোড়া চকলেট দেখে কোনও রকম সন্দেহ হয়নি দিদির। খিদে পাওয়ায় সে চকোলেটটি খেয়ে নেয়। চকোলেটটি খাওয়ার পরেই দিদির শরীর খারাপ লাগতে শুরু করে। সে আমায় মেসেজে জানায়, চকোলেটটি খাওয়ার পর থেকেই তার শরীর খারাপ হয়। চকোলেট খেয়ে দিদির হৃদ্স্পন্দন বেড়ে যায়, মুখ তেতো হয়ে যায়, শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে। যে ভাবেই হোক, ওকে বাঁচানোর আর্জি জানায় সে।’’
ফার্নান্দার পরিবারের লোকজন তাঁকে সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে চিকিৎসকদের শত চেষ্টার পরেও শেষরক্ষা হয়নি। মৃত্যু ঘটে ফার্নান্দার। ময়নাতদন্তের পর তাঁর শরীরে বিষের হদিস মিলেছে। ফার্নান্দার পরিবারের লোকজন ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। তবে এখনও ওই চকোলেট খেয়েই যে ফার্নান্দার মৃত্যু হয়েছে, তা প্রমাণিত হয়নি। পুলিশ ওই বৃদ্ধার তল্লাস চালাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy