প্রতি দিন হাঁটলে ক্যানসার, ডিমেনশিয়ার মতো রোগকে কাবু করা সম্ভব। ছবি : সংগৃহীত
স্বাস্থ্যকর, সুষম খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম, নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং শরীরচর্চা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে শর্করা বৃদ্ধি এবং হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও অনেক ক্ষেত্রেই কমিয়ে আনে। শুধু তাই নয়, সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, রোজ নিয়মিত শরীরচর্চা করলে ক্যানসার, ডিমেনশিয়ার মতো প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়।
জানলে অবাক হবেন, কোনও ভারী ওজন তোলা বা কষ্টকর ব্যায়াম নয়। প্রতি দিন হাঁটলে ক্যানসার, ডিমেনশিয়ার মতো রোগকে কাবু করা সম্ভব।
‘জামা ইন্টারন্যাশনাল মেডিসিন’ এবং ‘জামা নিউরোলজি’-র সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই সব তথ্য। সেখানে বলা হয়েছে, প্রতি দিন কমপক্ষে ১০ হাজার পা হাঁটলে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যায়। তাই স্মার্টফোনেই হোক বা ট্র্যাকারে, প্রতি দিন নিজের হাঁটার পরিমাণ মেপে রাখুন।
এক বারে ১০ হাজার পা হাঁটা খুব সহজ নয়। তাই প্রতি দিন একটু একটু করে হাঁটার পরিমাণ বাড়াতে হবে। এই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, প্রতি মিনিটে ৮০ থেকে ১০০ পা, এই হিসেবে মোট ৩০ মিনিট হাঁটাহাটি করলে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা প্রায় ২৫ শতাংশ কমে যায়।
তবে, শুরুতেই প্রতি দিন আধ ঘণ্টার মধ্যে ১০ হাজার পা হাঁটার লক্ষ্য পূর্ণ করতে না পারলে চিন্তার কিছু নেই। সারাদিনের মধ্যে গড়ে ১০ হাজার পা হাঁটতে পারলে, দেরিতে হলেও ফল মিলবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরচর্চায় একেবারেই অনভ্যস্ত হলে ১০ হাজার পা হাঁটা খুবই কষ্টের, তাই ধীরে ধীরে হাঁটার পরিমাণ বাড়াতে হবে। প্রথমে সপ্তাহে ১৫০ মিনিট দিয়ে শুরু করা যেতে পারে।
সবচেয়ে ভাল হয় প্রতি দিন নিজের পোষ্যকে নিয়ে, দু’বেলা হাঁটলে। লক্ষ্য পূরণ করার লক্ষ্য নিয়ে না হেঁটে, হালকা মেজাজে পার্কে বা বাড়ির আশেপাশে হাঁটাহাটি করুন।
কী করে বুঝবেন আপনার হাঁটার গতি আপনার জন্য ঠিক কি না?
ট্র্যাকারে মাপবেন তো নিশ্চয়ই। এ ছাড়া আরও একটি সহজ উপায় আছে। একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে হাঁটলে ঘাম ঝরবেই। শুধু লক্ষ্য রাখুন, হাঁটতে হাঁটতে গান গাইতে বা গোটা গোটা বাক্য বলতে আপনার অসুবিধা হচ্ছে কি না। যদি হয়, তা হলে বুঝবেন আপনি সঠিক গতিতে হাঁটছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy