Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪

Mental Health: শিশুর মনোযোগ বাড়াতে যোগেই ভরসা রাখুন

যাতে কোনও রকম বড় সমস্যা হওয়ার আগেই শিশুদের মন ভাল রাখা যায় সেই দিকে তৎপরতা প্রয়োজন। শিশুদের মন ভাল রাখতে যোগাসন দারুণ কার্যকর।

যোগাসন কিংবা ব্যায়াম শিশুর স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ বাড়ায়।

যোগাসন কিংবা ব্যায়াম শিশুর স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ বাড়ায়। ছবি: সংগৃহীত

, নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২২ ১৫:৪০
Share: Save:

করোনাকালে প্রায় দু’বছর ধরে ঘরবন্দি ছিল শিশুরা। বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে মানসিক ক্ষতির নিরিখে করোনাকালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে শিশুদের। দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকা, বন্ধুদের সঙ্গে আলাপচারিতার অভাব, নানা কারণেই অবসাদে ভুগছে তারা। সেই অর্থে প্রকাশ করতে না পারলেও তারা মানসিক ভাবে বেশ ভেঙে পড়েছে তা তাদের হাবভাবেই প্রকাশ পায়। সেই থেকেই পড়াশোনার ক্ষতি, ভুল-ভ্রান্তি লেগেই আছে।

ধীরে ধীরে স্কুলগুলি খুলতে শুরু করেছে। শিশুদের এই সব বিষয় থেকে বার করে নিয়ে আসা ভীষণ জরুরি। যাতে কোনও রকম বড় সমস্যা হওয়ার আগেই ওদের মন ভাল রাখা যায় সেই দিকে তৎপরতা প্রয়োজন। শিশুদের মন ভাল রাখতে যোগাসন দারুণ কার্যকর। ইদানীং স্কুল এবং প্রি-স্কুলগুলিও যোগাসন কিংবা ব্যায়ামের দিকে ভাল মতো নজর দিচ্ছে। শুধু যোগাসনই নয়, প্রাণায়ম করলেও শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি সম্ভব।

যোগাসন কিংবা ব্যায়াম শিশুর স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ বাড়ায়। অবসাদ কাটাতেও এর জুড়ি ভেলা ভার। কোন আসনগুলি শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করবে জেনে নিন।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

পদ্মাসন: সহজ এই আসনটি করলে মন শান্ত থাকে। যে কোনও কাজে মনোযোগ বাড়াতে এই আসন কাজে লাগে।

বালাসন: উদ্বেগ কমাতে শিশুরা এই যোগাসনটি করতে পারে।

বদ্ধা কনাসান: বিচলিত বোধ করলে, এই আসন শিশুদের মানসিক শান্তি দিতে পারে।

ভূজঙ্গাসন: ক্লান্তি দূর করতে এই আসন করা যেতে পারে। মানসিক অস্থিরতা দূর করতে সাহায্য করে এই আসন।

দেখার পরিবর্তে গল্পের বই পড়ানোর অভ্যাস করান। এতে তাদের মন ও মেজাজ দুই-ই ভাল থাকবে।

শিশুদের যোগাসনের ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়গুলি ভুললে চলবে না?

১) চার বছর বয়স হলেই তবেই শিশুদের যোগাসন করানো যেতে পারে, তার আগে নয়! অল্প বয়সে হাড় খুব নরম হয়, ফলে তারা যোগাসনের সময় আঘাত পেতে পারে।

২) যোগাসন সঠিক পদ্ধতিতে করলে তবেই সুফল মিলবে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে তবেই যোগাসন করানো উচিত।

৩) সব শিশুদের জন্য সব যোগাসন উপকারী নাও হতে পারে। আপনার শিশুর কী কী সমস্যা আছে, তা বিশেষজ্ঞকে খুলে বলুন। তাঁরাই বলতে পারবেন, আপনার খুদেটি ঠিক কোন আসনগুলি করতে পারবে এবং কোন আসনে তার সমস্যাগুলি দূর হবে।

৪) অনেকের ধারণা, শিশুদের শরীর খুব নমনীয় হওয়ার কারণে তারা যে কোনও যোগাসন খুব সহজেই করতে পারে। এই ধারণা একেবারেই ভুল। প্রথমেই খুব বেশি কঠিন যোগাসন করানো কখনই উচিত নয়। তাদের ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে ওঠার সুযোগ দিতে হবে।

৫) যোগাসনে মন শান্ত হয়। তবে দু’দিন করলেই সেই সুফল পাওয়া যায় না। নিয়মিত যোগাভ্যাস করে যেতে হবে। তবেই মিলবে সুফল।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy