শিশুকে খাবার খাওয়ান কৌশলে। ছবি:সংগৃহীত।
খাওয়া নিয়ে বাচ্চাদের বায়না থাকেই। খুদেকে খাওয়াতে গিয়ে বাবা-মায়েদের এক প্রকার যুদ্ধ চলে বলা যায়। অনেক শিশুই রয়েছে, যারা মুখে খাবার নিয়ে বসে থাকে। চিবোতে চায় না। বকুনি দেওয়ার পর হয়তো জল দিয়ে গিলে ফেলে। দীর্ঘ দিন এমন চলতে থাকলে পুষ্টির ঘাটতি থেকে যায় শিশুর শরীরে। তার উপর দিনের অনেকটা সময় স্কুলে থাকে শিশুরা। অনেক সময় ভর্তি টিফিন কৌটোই বাড়িতে ফেরত আসে। অথচ সুস্থ ভাবে বেড়ে ওঠার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি। শিশুর শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টির জোগান দেবেন কী ভাবে?
১) শিশুর সকালের খাবারে রাখুন প্রোটিন, ফল, বিভিন্ন ধরনের শস্য, শাকসব্জি। এই খাবারগুলি এমনিতে সোনামুখ করে শিশু খেয়ে নেবে না। তবে স্বাস্থ্যকর এই খাবারগুলিই যদি অন্য ভাবে শিশুকে খেতে দেন, তা হলে কিন্তু খেয়ে নেবে।
২) শিশুর দুপুরের খাবারে এমন কিছু রাখুন, যেগুলি এক দিকে প্রোটিন সমৃদ্ধ অন্য দিকে সুস্বাদুও। সে ক্ষেত্রে চিকেনের কোনও পদ রাঁধতে পারেন। স্কুলের টিফিনে পাস্তা অথবা পাউরুটি দিয়ে কোনও সুস্বাদু খাবার বানিয়ে দিতে পারেন।
৩) সন্ধ্যায় খুদেকে কী খেতে দেবেন, মায়েরা ঠিক বুঝতে পারেন না। এই সময় ইয়োগার্ট দিতে পারেন কিংবা গ্রানোলা বার। কিন্তু বাইরের প্রক্রিয়াজাত খাবার একেবারেই খাওয়াবেন না।
৪) সন্তানকে খাবার খাওয়ানো নিয়ে যতটা সচেতন থাকছেন, সেই একই তৎপরতা নিয়ে জলও খাওয়াতে হবে তাকে। শিশুর শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে মুশকিল হতে পারে। কারণ এই বয়সে প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। জলের ঘাটতির কারণে নানা রোগবালাই বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। সেই ঝুঁকি কমাতে জল খাওয়ান বেশি করে।
৫) বাড়ন্ত বয়সে ফল আর শাকসব্জি বেশি করে খাওয়ানো জরুরি। বাচ্চারা এই দু’টি খাবারই খেতে চায় না। এ ক্ষেত্রে ফল সরাসরি না খাইয়ে শরবত কিংবা রস বানিয়ে দিতে পারেন। শাকসব্জি দিয়েও কিন্তু সুস্বাদু স্যুপ বানানো যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy