Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
IVF

সন্তানধারণের জন্য আইভিএফ পদ্ধতির কথা ভাবছেন? কত দিন সময় লাগতে পারে? খরচই বা কত?

আইভিএফ এই পদ্ধতি যে সব সময়ই সফল হবে, এমনটা নয়। তাই আগে থেকেই সে বিষয়ে মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। জেনে নিন এর খুঁটিনাটি।

ইদানীং আইভিএফ অথবা ‘ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন’ পদ্ধতির মাধ্যমে অনেকে দম্পতি সন্তানসুখ লাভ করছেন।

ইদানীং আইভিএফ অথবা ‘ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন’ পদ্ধতির মাধ্যমে অনেকে দম্পতি সন্তানসুখ লাভ করছেন। ছবি: শাটারস্টক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:১৬
Share: Save:

বন্ধ্যত্বের সমস্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। পড়াশোনা শেষ করে কয়েক বছর জমিয়ে চাকরি করার পর বিয়ে করতে অনেক মেয়েরই বয়স তিরিশ পেরিয়ে যায়। তার পর দাম্পত্য উপভোগ করে যখন কেউ মা হওয়ার কথা ভাবেন, দেখা যায় তাঁর বয়স ৩৫ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। বয়স বাড়লে সন্তানধারণের ক্ষেত্রে নানা সমস্যা হতেই পারে। তা ছাড়া কর্মব্যস্ত জীবনে অত্যধিক মানসিক চাপ ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণেও সন্তানধারণে সমস্যা হয়ে থাকে।

ইদানীং আইভিএফ অথবা ‘ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন’ পদ্ধতির মাধ্যমে অনেকে দম্পতি সন্তানসুখ লাভ করছেন। পদ্ধতিটি বেশ খরচসাপেক্ষ। স্বাভাবিক নিয়মে সন্তানধারণ করতে পারবেন না, এই খবর পাওয়ার পর অনেক দম্পতিই মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে যান। আইভিএফ পদ্ধতি বেছে নিলেই যে সমস্যার সমাধান হবে ব্যাপারটা তেমনও নয়। অনেক ক্ষেত্রে কিন্তু আইভিএফও সফল হয় না। তাই এই পদ্ধতি শুরু করার আগে কিছু কথা মাথায় রাখতে হবে। হবু মায়ের খুব বেশি বয়স বা মানসিক চাপ যেমন এই পদ্ধতির জন্য ক্ষতিকর, তেমনই জীবনযাপনে কিছু ভুলও। তাই এই পদ্ধতি শুরু করার আগে জীবনযাপনে কিছু বদল আনতেই হবে। এই পদ্ধতি যে সব সময়ই সফল হবে এমনটা নয়। তাই আগে থেকেই সে বিষয়ে মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। আপনিও কি এই পদ্ধতিতে সন্তানধারণের কথা ভাবছেন? তা হলে জেনে নিন এর খুঁটিনাটি।

১) আইভিএফ পদ্ধতিতে মহিলার শরীরে নানা রকম হরমোন ইনজেক্ট করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। গোটা আইভিএফ চলাকালীন ছয় থেকে আট সপ্তাহে মহিলাদের মেজাজ বিগড়ে যাওয়া, শরীরে ব্যথা-যন্ত্রণা, অস্বস্তির মতো নানা সমস্যা শুরু হয়। এই প্রক্রিয়া সাধারণ পদ্ধিতে সন্তানধারণের তুলনায় অনেক বেশি জটিল ও কষ্টদায়কও।

২) আইভিএফ পদ্ধতির শুরু করার আগেই চিকিৎসকরা বলেন মানসিক চাপ একেবারেই নেওয়া যাবে না। মানসিক চাপ যে শুধু সন্তানধারণে সমস্যা করবে তাই নয়, আপনার শরীরে নানা রকম গোলমালের কারণও হতে পারে। তাই মানসিক চাপ কমানো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। প্রয়োজনে যোগাসন, ডায়েরি লেখা, প্রাণায়াম, হাঁটা, গান শোনা, কোথাও বেড়াতে যাওয়া— ইত্যাদির মাধ্যমে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। মানসিক ভাবে প্রস্তুত না হলে এই প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব নয়। খুব বেশি সমস্যা হলে অবশ্যই পেশাদার কাউন্সিলিংয়ের সাহায্য নিন।

৩) প্রথম আইভিএফ চক্র ব্যর্থ হওয়ার অর্থ এই নয় যে, তিনি ভবিষ্যতে আর কোনও দিন অন্তঃসত্ত্বা হতে পারবেন না। চিকিৎসকরা ব্যর্থতার কারণ খুঁজে বার করে ভবিষ্যতে এই প্রক্রিয়াকে সফল করার ব্যবস্থা নিতেই পারেন। চার থেকে পাঁচটি আইভিএফ চক্রের পরও মহিলারা সুস্থ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, এমন ঘটনাও বিরল নয়।

৪) অনেকে মনে করেন, আইভিএফ পদ্ধতিতে একাধিক ভ্রূণ স্থানান্তরিত করা হলেই একাধিক সন্তানের জন্মের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই ধারণা ভুল। বরং এমনটা করলে ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। এমনকি, গর্ভপাতের সম্ভাবনাও বেশি। চিকিৎসকরা একটি ভ্রূণ স্থানান্তরিত করার ক্ষেত্রেই বেশি জোর দেন।

৫) আইভিএফ পদ্ধতি অনেক খরচসাপেক্ষ। কলকাতার ভাল মানের হাসপাতালে গোটা পদ্ধতিটি করাতে কম পক্ষে ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ পড়বে। হাসপাতাল ভেদে খরচ আরও বাড়তে পারে। কোনও নামকরা হাসপাতালেই এই চিকিৎসা করানো শ্রেয়।

অন্য বিষয়গুলি:

IVF Pregnancy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy