সন্তানের মনের হদিস সব সময় পান না মা-বাবা। ছবি: সংগৃহীত
খুদেদের সামগ্রিক মানসিক বিকাশে পারিপার্শ্বিক সামাজিক উপাদানগুলির ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না। কারও সঙ্গে মিশতে না পারা শিশুদের মনে আসতে পারে অবসাদ। সন্তান যদি মেলামেশা করতে সহজ বোধ না করে তবে তা নিয়ে চিন্তার শেষ থাকে না অভিভাবকদের। কিন্তু একথাও সত্যি যে, সন্তানের মনের হদিস সব সময় পান না মা-বাবা।
কোন কোন বিষয়ে নজর রাখবেন
সন্তানের আচরণে একাধিক পরিবর্তন ইঙ্গিত দিতে পারে এই ধরনের সমস্যার। বাড়ির বাইরে যেতে অস্বীকার করা, সব সময় মন মরা হয়ে থাকা কিংবা কারণে অকারণে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠা। এই লক্ষণগুলি দেখতে পেলে সন্তানকে বকাঝকা না করে কাছে গিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন তার সমস্যা। অনেক সময় এই আক্রমণাত্মক মনোভাব ও নিজেকে সরিয়ে রাখার প্রবণতা চক্রাকারে ঘটতে পারে। কোন কারণে এমন ঘটছে, অভিভাবককেই খুঁজে বার করতে হবে।
কী করবেন
কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় শিশুর কোনও বাজে অভ্যাসের কারণে বন্ধুরা তাকে দূরে ঠেলে দেয়। এই সমস্যার সমাধান হতে পারে সহজেই। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে আর্থ-সামাজিক বা ভাষাগত কারণ লুকিয়ে থাকতে পারে এর পিছনে। এক্ষেত্রে সন্তানকে দিতে হবে সাহস, সহজবোধ্য ভাষায় দিতে হবে দিতে নৈতিকতার পাঠ। কিন্তু এই সব কিছুর বাইরেও মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একাধিক বিষয় থাকতে পারে এই ঘটনার পিছনে। এমন ক্ষেত্রে অবশ্যই নিতে হবে মনোবিদের পরামর্শ। মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা শিশুমনের খেয়াল বলে এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy