ডেঙ্গি জ্বর থেকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করতে পারে নিমপাতা। ফাইল চিত্র।
ডেঙ্গি সেরে গেলেও অন্তত সপ্তাহখানেক ধরে সাবধান না থাকলে শরীরে একাধিক রোগের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এমনই মনে করছেন চিকিৎসকেরা। ডেঙ্গি ভিতর থেকে শরীরকে দুর্বল করে দেয়। ডেঙ্গি আক্রান্তদের রক্তে প্লাজ়মা ও অণুচক্রিকা কমে যায়। কিছু ক্ষেত্রে যেমন ‘ডেঙ্গি হেমারেজিক জ্বর’ হলে শরীরের ভিতর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। তাই ডেঙ্গি নির্মূল হলেও তার রেশ থেকে যায় শরীরে।
প্রচণ্ড দুর্বলতা, পেশিতে যন্ত্রণা, মাথা ঘোরা, বমি ভাব এ সব তো থাকেই, পাশাপাশি চুল পড়া, ঘন ঘন মেজাজ বদলে যাওয়া,সারা গায়ে র্যাশ বেরোনোর মতো লক্ষণও দেখা দেয় ডেঙ্গিতে। বেশির ভাগ রোগীই জানান, তাঁদের পেশিতে ও গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা হয়। শরীরে ভিটামিনের ঘাটতিও দেখা দেয়। শরীর সারাতে কেবল ওষুধ খেলে চলবে না। বরং শরীর থেকে দূষিত পদার্থ দূর করতে হলে শরীর ডিটক্স করাও জরুরি। ডেঙ্গি জ্বর থেকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করতে পারে নিম। কী ভাবে ব্যবহার করবেন জেনে নিন।
১) নিমপাতার চা
দু’কাপ জলে একমুঠো নিমপাতা ফেলে ফোটান ১০-১৫ মিনিট। জল ফুটে গেলে নামিয়ে নিয়ে ছেঁকে খেয়ে ফেলুন। দিনে দুই থেকে তিন বার খেলে উপকার পাবেন।
২) নিমের শরবত
নিমের শরবতও খুব উপকারী। একমুঠো নিমপাতা ভাল করে থেঁতো করে নিন। এক গ্লাস জলের সঙ্গে নিমের রস মিশিয়ে তার সঙ্গে লেবুর রস ও মধু মেশালেই তৈরি হয়ে যাবে নিমের শরবত। প্রতি দিন এক বার করে খেলেও শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যাবে।
৩) নিমের মলম
ডেঙ্গি হলে অনেক সময়ে সারা গায়ে র্যাশ বেরিয়ে যায়। তাতে জ্বালা, চুলকানি হয়। র্যাশ সারাতে স্টেরয়েড জাতীয় মলম না কিনে নিমপাতা দিয়েই মলম বানিয়ে নিতে পারেন। নিমপাতা থেঁতো করে র্যাশের জায়গায় লাগিয়ে রাখলে তা দ্রুত সেরে যাবে। ত্বকের অস্বস্তিও দূর হবে।
৪) নিম তেল
নিম তেলের সঙ্গে নারকেল তেল বা জ়োজোবা তেল মিশিয়েও ত্বকে লাগাতে পারেন। তাতেও র্যাশের সমস্যা দূর হবে।
এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। অনেকেরই বিভিন্ন রকম খাবারে অ্যালার্জি থাকে। নানা ওষুধও খান। তাই নিম পাতা খাওয়ার আগে বা নিমের মলম ত্বকে লাগানোর আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy