স্নান করার সময়ে শরীরের উষ্ণতা কয়েক ডিগ্রি বাড়ে। ছবি: সংগৃহীত
ছোটবেলা থেকেই আমাদের শেখানো হয়, স্নান করে তবেই খাবার খাওয়া উচিত। তবে কর্মব্যস্ত জীবনে অনেক সময়ই এমনটা করা হয়ে ওঠে না। অনেকে এমনও আছেন যাঁরা রাতে খাওয়াদাওয়ার পর স্নান করে ঘুমাতে পছন্দ করেন, তাতে নাকি ঘুম ভাল আসে। তবে এই অভ্যাসের কারণে কি শরীরের আদৌ কোনও ক্ষতি হতে পারে?
সাধারণত স্নান করার সময়ে শরীরের উষ্ণতা কয়েক ডিগ্রি বাড়ে। একে বলা হয় ‘হাইপারথারমিক অ্যাকশন’। এই প্রক্রিয়ায় শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। ঘর্মগ্রন্থিগুলিকে সক্রিয় হয়, যার ফলে শরীরে জমা দূষিত পদার্থ বেরিয়ে আসে। আর স্নায়ুগুলি আরাম পায়।
খাওয়ার পরেও শরীরের তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি বেড়ে যায়। হজম প্রক্রিয়া সুষ্ঠ পদ্ধতিতে চালানোর জন্য পেটের আশপাশে অনেকটা রক্ত জমা হয়। শরীরে রক্ত সঞ্চালনের হারও খাওয়ার পর বেড়ে যায়। আর ভারী কোনও খাবার খাওয়ার ঠিক পরেই স্নান করলে শরীর সংশয়ের মধ্যে পড়ে যায়। খাবার হজম করার কাজে বেশি সক্রিয় হবে, না কি ‘হাইপারথারমিক অ্যাকশন’-এ জোর দেবে— শরীর তা ঠিক বুঝে উঠতে পারে না। তাই খাবার ভাল করে হজম হয় না। এর ফলে পেটব্যথা, বদহজম, গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। তার উপর স্নান করার সময় কখনও কখনও হৃদ্স্পন্দন বেড়ে যায়। পেট ভরে খাওয়ার পর এমনটা মোটেও সুখকর হয় না। এই অভ্যাসের ফলে বিপাকের হার কমে যায়। আর তাতেই তৈরি হয় সমস্যা। বিশেষ করে ফ্যাট বা রিফাইন করা কার্বোহাইড্রেট বা অতিরিক্ত ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়ার পর স্নান করেন, হজম প্রক্রিয়া আরও ধীর হয়ে যায়। তাই পেটের গন্ডগোল হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy