হবু মায়ের যদি অ্যালার্জির সমস্যা না থাকে তাহলে তিনি অনায়াসেই চিংড়ি মাছ খেতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত
মাতৃত্বের অভিজ্ঞতা বহু মহিলার কাছেই স্বপ্নের মতো। মা হওয়ার যাত্রাপথ যেমন সুখকর তেমন যন্ত্রণাদায়কও বটে। মা হয়ে ওঠার এই সময়টায় তাই শারীরিক ও মানসিক দু’ভাবেই সুস্থ থাকা জরুরি। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্বাভাবিকের তুলনায় খিদে বেশি পায়। শুধু খিদেই নয়, হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়ার কারণে এই সময়ে স্বাদেরও পরিবর্তন হতে থাকে। তাই বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়ার ইচ্ছে হয়।
কিন্তু শরীরে যখন আরও একটি প্রাণ বেড়ে উঠছে, তখন ইচ্ছে হচ্ছে বললেই যা খুশি তাই খাওয়া যায় না। এই সময় খাবারে অনেক বিধিনিষেধ চলে আসে। অনেকেরই ধারণা অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় চিংড়ি খাওয়া ভাল নয়। তবে আদৌ কি এই ধারণা ঠিক?
চিকিৎসকরদের মতে, হবু মায়ের যদি অ্যালার্জির সমস্যা না থাকে তাহলে তিনি অনায়াসেই চিংড়ি মাছ খেতে পারেন। চিংড়ি খেলে কোনও ক্ষতি তো হয়ই না বরং হবু মা এবং স্তন্যপান করান এমন মহিলাদের শরীরে পুষ্টি জোগাতে এই সামুদ্রিক প্রাণী কিন্তু দারুণ উপকারী।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় চিংড়ির কেন ভাল?
১) অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য চিংড়ি মাছ বেশ উপকারী কারণ এটি শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজের দারুণ উৎস। চিংড়ি মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ভরপুর মাত্রায় থাকে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রসব সংক্রান্ত ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। গর্ভস্থ শিশুর স্বাস্থ্যও ভাল রাখে।
২) চিংড়ি থেকে হবু মায়েরা প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি পেতে পারেন।
৩) চিংড়িতে ভরপুর মাত্রায় আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম থাকে। হবু মা এবং সন্তানের শরীরে রক্তের মাত্রা বাড়াতে এই উপাদানগুলি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
চিকিৎসকদের মতে, যে সব সামুদ্রিক মাছে অধিক মাত্রায় পারদ থাকে সেইগুলি অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় খাওয়া উচিত নয়। শার্ক, টুনা ইত্যাদি মাছে বেশ ভাল পরিমাণে পারদ থাকে। তাই হবু মায়েদের জন্য এই সব মাছ এড়িয়ে চলাই ভাল। তবে চিংড়ি, স্যামন, তেলাপিয়া, মাগুর, শিঙি ইত্যাদি মাছে কম মাত্রায় পারদ থাকে। তাই মাঝেমাঝে এই সব সামুদ্রিক মাছ হবু মায়েরা তাঁদের খাদ্যতালিকায় রাখতেই পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy