ক্যানসার ছাড়াও আরও কয়েকটি কারণে স্তনে এই ধরনের মাংসপিন্ড তৈরি হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
দেশে প্রতি ২ জন ক্যানসারে আক্রান্তের মধ্যে ১ জন মারা যান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর তথ্য অনুসারে, প্রতি বছর প্রায় ১৪ লক্ষ মহিলা নতুর করে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আজকাল আর কোনও নির্দিষ্ট বয়সসীমা বলে কিছু হয় না। যেকোনও বয়সের মহিলারা এই অসুখের শিকার হন। তবে যাঁরা সদ্য মা হয়েছেন এবং স্তন্যপান করান তাঁদের স্তন ক্যানসার সম্পর্কে বাড়তি সচেতন হওয়া প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে স্তনের সব লাম্প বা মাংসে পিন্ডে কিন্তু ক্যানসারের প্রবণতা থাকে না। বরং ১০-১৫ শতাংশ মাংসপিন্ডে এই ভয় থাকে। কিন্তু শরীরে তেমন কোনও লাম্প বাসা বেঁধেছে কি না তা জানতে বছরে অন্তত এক বার চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে পরীক্ষা করে নেওয়া জরুরি।
স্তন্য পান করানোর ফলে নতুন মায়েদের স্তনে অনেক সময় এই রকম কিছু মাংসপিন্ড দেখা দিতে পারে। তবে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। কারণ অধিকাংশ সময়েই মাংস পিন্ডগুলি ক্যানসার হয় না। ক্যানসার ছাড়াও আরও কয়েকটি কারণে স্তনে এই ধরনের মাংসপিন্ড তৈরি হতে পারে।
আর কী কী কারণে হতে পারে?
১) মাস্টাইটিস
এটি এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া। স্তনের বৃন্তে থাকা দুগ্ধনালীতে অনেক সময় দুধ জমে থাকে। দীর্ঘ দিন ধরে জমে থাকার ফলে স্তনের অভ্যন্তরে একটি ক্ষত তৈরি হয়। সেখান থেকেই তৈরি হওয়া সংক্রমণের ফলে একদলা মাংসপিন্ড তৈরি হতে পারে।
ফাইব্রোডেনোমাস
স্তনের উপরের ত্বকে তৈরি হওয়া এক ধরনের টিউমার বা মাংসপিন্ড। এটি অনেক সময় খেলনা গুলির মতো আকৃতির। এর উপর চাপ দিলে ত্বকের নীচে চলে যায়। বেশ শক্ত হয়।
গ্যালাক্টোসেলিস
এই মাংসপিন্ডগুলিতে সাধারণ ভাবে ব্যথাহীন হয়। মসৃণ ও নরম। এই পিন্ডগুলিতে দুধের পরিমাণ ভরপুর। ক্যানাসরের জীবাণুযুক্ত পিন্ডগুলি সাধারণত শক্ত হয়। বডসড় আকৃতির হয়। নড়াচড়াও করতে পারে না।
এই মাংসপিন্ডগুলি স্তন ক্যানসারের লক্ষণ নয়। এগুলি মূলত স্তন্যপান করানোর জন্য হতে পারে। তবে স্তন ক্যানসারের অন্যতম লক্ষণ কিন্তু স্তনের উপর তৈরি হওয়া মাংসপিন্ড। এ ছাড়াও আরও কয়েকটি লক্ষণ দেখে সহজেই স্তন ক্যানসার চিহ্নিত করতে পারবেন। সেগুলি কী কী?
১) স্তনে মারাত্মক ব্যথা।
২) স্তনের আকার ও আকৃতির পরিবর্তন।
৩) স্তনের বর্ণ পরিবর্তন হয়ে যাওয়া। লাল বা কালো হয়ে যেতে পারে।
৪) স্তনবৃন্তে চুলকানি, র্যাশ, ফুসকুড়ি।
৫) স্তন ফুলে যাওয়া।
এই উপসর্গগুলি দেখা দিলে অতি অবশ্যই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। আপনি যদি শিশুকে স্তন্যপান করান তাহলে আরও বেশি করে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy