প্রসাধনীর পিছনে খরচ না করে, কেশর দিয়েই কিন্তু ত্বকচর্চা করা যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
বয়স ৩০-এর কোঠায় পৌঁছতে না পৌঁছতেই ত্বকে কালচে ছোপ পড়ছে। চোখ এবং ঠোঁটের চারপাশেও হালকা বলিরেখা পড়েছে। ছোটবেলায় মুখময় যে ব্রণ হত, তার দাগ রয়ে গিয়েছে এখনও। এত ধরনের সমস্যার জন্য ইন্টারনেট ঘেঁটে নানা রকম প্রসাধনীর খোঁজ পেয়েছেন। বন্ধুরা অনেকেই বলেছেন, সেই সব ক্রিম, প্রসাধনী মেখে তাঁরাও উপকার পেয়েছেন। কিন্তু দাম দিয়ে এত রকম ক্রিম যে কিনবেন, তাতে ভয়ও করছে। সে সব মেখে যদি মুখে কিছু বেরোয়। হিতে বিপরীত হলে তো সমস্যার শেষ থাকবে না। তবে ত্বকের বিষয়ে অভিজ্ঞরা বলছেন, গুচ্ছ গুচ্ছ টাকা প্রসাধনীর পিছনে খরচ না করে, কেশর কিনলেই কিন্তু অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে।
কেশর ত্বকের কোন কোন সমস্যার সমাধান করতে পারে?
১) তারুণ্য ধরে রাখে
বয়স বাড়লে ত্বক এমনিতেই নিষ্প্রভ হয়ে পড়ে। হাজার হাজার দামি ক্রিম মেখেও খুব একটা লাভ হয় না। সেই সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে টক দই, কেশর এবং মধুর মিশ্রণ। সপ্তাহে বার দুয়েক মাখতে পারলে বয়সের ছাপ একেবারেই পড়বে না।
২) কালচে দাগ দূর করে
কেশরের মধ্যে ক্রোসিন এবং ক্রোসেটিনের মতো উপাদান রয়েছে। এই দু’টি উপাদান ত্বকের কালচে দাগছোপ দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকের তরতাজা ভাবও ফিরিয়ে আনে।
৩) ত্বকের জেল্লা ধরে রাখে
শুধু যে বয়স বাড়লেই ত্বক জেল্লা হারায়, এমনটা কিন্তু নয়। কমবয়সিদের ত্বকও নিষ্প্রাণ হয়ে যেতে পারে। কেশরের মধ্যে যে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে, তা মেলানিনের উৎপাদন কমিয়ে প্রাকৃতিক ‘স্কিন-লাইটেনিং’ হিসাবে কাজ করে।
৪) সানবার্ন দূর করে
রোদ লেগে ত্বক পুড়ে গেলে বা ত্বকে ট্যান পড়লে সালোঁয় গিয়ে ব্লিচ করার প্রয়োজন নেই। কেশরের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ট্যান উপাদানেই সমস্যার নিষ্পত্তি হবে। ত্বকও মসৃণ হবে।
৫) ব্রণর সমস্যায়
ত্বকে ব্রণ, প্রদাহের সমস্যা দূর করতে পারে কেশর। ত্বকের ধরন বুঝে, বাড়িতে তৈরি যে কোনও ফেসপ্যাকের সঙ্গে কেশর মিশিয়ে মুখে মাখতে পারেন। কাজ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy