রং খেলতে যাওয়ার সকলেরই চোখে একটা চশমা বা গগলস জাতীয় কিছু পরে নিতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত
রং খেলার যাবতীয় পরিকল্পনা দু’দিন আগে থেকে সেরে রেখেছেন অনেকে। দোল উপলক্ষে হইহুল্লোড় যেমন থাকে, তেমনি রং চোখে ঢুকে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। বড়রাও কম যান না অবশ্য। বন্ধুকে চমকে দিতে পিছন থেকে দৌড়ে রং মাখিয়ে দিতে গিয়ে ঘটে যত বিপত্তি। চোখে কিছু ঢুকলেই হাত দিয়ে চোখ কচলে রং বার করা একটা সহজ প্রবৃত্তি। সেটা করতে গিয়েই বিপদ বাড়ে।
চোখ শরীরের সবচেয়ে স্পর্শকাতর অঙ্গ। চোখে যেকোনও কিছু ঢুকলেই চোখের মধ্যে একটা খচখচানি শুরু হয়ে যায়। রং ঢুকলে সে অস্বস্তি আরও দ্বিগুণ হয়। বাজারে আজকাল সব রঙেই রাসায়নিক বিভিন্ন দ্রব্য মেশানো থাকে। যা চোখের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাকাতে সমস্যা হতে পারে। চোখ জল পড়া, চোখ চুলকানো, লাল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা যায়।
চোখ ও ত্বক বাঁচাতে অনেকে জল রঙের চেয়ে আবির নিয়ে খেলে থাকেন। সেক্ষেত্রেও কিন্তু বিপদের আশঙ্কা কমে না। কারণ আবিরে থাকা অভ্র বা কাচের গুঁড়ো চোখের কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আবির মূলত ক্ষারধর্মী। আবিরে থাকা অ্যালকালাইনের প্রভাবে চোখের সংবেদনশীল অংশ ঝলসে যাওয়ার একটা ঝুঁকি থাকে। তাই এই ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।
দোলের দিন বাচ্চাদের হাতে রং ভরা বেলুনও দেখতে পাওয়া যায়। রং ভরতি বেলুন এসে চোখে লাগলেও তা বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ আঘাত সরাসরি রেটিনায় এসে লাগতে পারে। এই পরিস্থিতি চোখে জলের ঝাপটা দিলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাই বয়স নির্বিশেষে চোখ সুরক্ষিত রেখে উৎসবে সামিল হওয়া বাঞ্ছনীয়।
দোলে কী ভাবে সুরক্ষিত রাখবেন চোখ ?
রং খেলতে যাওয়ার সকলেরই চোখে একটা চশমা বা গগলস জাতীয় কিছু পরে নিতে পারেন। চোখে রং ঢুকলেও সঙ্গে সঙ্গে চোখে জলের ঝাপটা দিয়ে নিন। অনেকেই ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তির কারণে চশমা ব্যবহার করেন। তবে দোলের সময় চশমার বদলে কনট্যাক্ট লেন্স পরে নেন। রং খেলার সময় কখনোই লেন্স পরে খেলতে যাবেন না। রং খেলার পর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন। রং খেলার আগে মাথার চুলে ভাল করে নারকেল তেল মেখে নিলে ক্ষতিকর রঙের প্রভাব থেকে এক দিকে যেমন চোখ বাঁচবে, তেমনই স্নানের সময়ে চোখে রং ঢোকার ভয়ও খানিকটা কমবে। সব রকম সাবধানতা নেওয়া সত্ত্বেও চোখে রং ঢুকলেও হাত দিয়ে চোখ কচলে রং বার করার চেষ্টা করবেন না। বারে বারে চোখে জলের ঝাপটা দিয়ে যান। খুব সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy