ত্বকে চুলকানি হলে কী করবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
বর্ষায় ত্বকে চুলকানি, র্যাশের সমস্যা লেগেই থাকে। যদি বৃষ্টিতে ভিজে আসেন, দেখবেন ভেজা জায়গায় কিছু ক্ষণ পরেই চুলকানি শুরু হয়েছে। দীর্ঘ সময় ভেজা জামাকাপড়ে থাকলেও এমন হয়। চুলকানির জায়গায় লালচে র্যাশ, ফুসকুড়ি বেরিয়ে যায়। আবার যদি ত্বকে ছত্রাকের সংক্রমণ হয়, তার থেকে জ্বালা, একজ়িমা হতে পারে অনেকের। অ্যালার্জির ধাত থাকলে তা আরও বেড়ে যায়। তাই যে কোনও কারণেই চুলকানি হোক না কেন, নখ দিয়ে না চুলকে তার বদলে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। আরাম পাবেন। জেনে নিন এই সময় র্যাশ, অ্যালার্জির থেকে বাঁচবেন কী ভাবে?
১) ত্বকের যেখানে চুলকানি হচ্ছে, সেখানে মধুর প্রলেপ লাগিয়ে দিন। মধু জীবাণুনাশক। আয়ুর্বেদে এর উপকারিতার কথা লেখা আছে। দেখবেন, কিছু ক্ষণের মধ্যে চুলকানি, জ্বালা ভাব কমে গিয়েছে।
২) ত্বকে যদি ছত্রাকের সংক্রমণ হয়, তা হলে সবচেয়ে ভাল সেখানে আপেল সিডার ভিনিগার লাগিয়ে রাখা। যদিও এর ব্যবহারে বেশ কয়েকটি সতর্কতা মেনে চলতে হয়। কারণ অতিরিক্ত অ্যাপেল সিডার ভিনিগারের ব্যবহার শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। কখনওই সরাসরি ত্বকে লাগাবেন না ভিনিগার। জলে গুলে লাগাতে হবে।
৩) এক বালতি ঠান্ডা জলে এক কাপ বেকিং সোডা মিশিয়ে রাখুন আধ ঘণ্টা। এই জলে স্নান করলে ত্বকের প্রদাহ কমবে।
৪) চুলকানি, প্রদাহ কমাতে ব্যবহার করতে পারেন পুদিনার তেল। এটি শুধু যে চুলকানি দূর করে তা নয়, ত্বক শীতল রাখতে সাহায্য করে। এগজ়িমার সমস্যা থাকলেও এটি ব্যবহার করতে পারেন।
৫) নিম পাতার অ্যান্টি-ফাংগাল, অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণ ত্বকের প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে। নিম ও মধু মিশিয়েও প্রদাহের জায়গায় লাগাতে পারেন।
৬) ত্বকে অতিরিক্ত প্রদাহ হলে টি-ট্রি অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এতে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান আছে। ত্বকের যে কোনও সমস্যাতেই কাজে আসতে পারে টি-ট্রি তেল।
এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। যাঁদের ত্বক সংবেদনশীল তাঁরা কিছু ব্যবহারের আগে ত্বক চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। যদি র্যাশ, চুলকানির সমস্যা বেড়ে চর্মরোগের লক্ষণ দেখা দেয়, তা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy