ঘর মুছলে হার্টের রোগ হবে না? ছবি: সংগৃহীত।
কর্মব্যস্ত জীবন থেকে সময় বার করে শরীরচর্চা করা হয়ে ওঠে না। কিন্তু কাজে বেরোনোর আগে কিংবা বাড়ি ফিরে ঘরের অনেক কাজই করতে হয়। তার পর ইচ্ছে থাকলেও আলাদা করে জিমে যেতে বা যোগাসন করতে ইচ্ছে করে না। এ দিকে, বাড়তে থাকা মানসিক চাপ, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন শরীরের উপর প্রভাব ফেলে। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকে। তবে সম্প্রতি ল্যানসেটের একটি গবেষণা বলছে, ঘর মোছা, বাসন মাজা, কাপড় কাচার মতো কিছু গেরস্থালির কাজ করলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে।
১। বাগান করা:
বাগান করলে মানসিক স্বাস্থ্য ভাল থাকে। ‘জার্নাল অফ হেল্থ সাইকোলজি’-তে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞানপত্রে বলা হয়েছে সে কথাই। পাশাপাশি, গাছপালার পরিচর্যা করার সময়ে অনেক বার ওঠা-বসা করতে হয়। তাতে পায়ের পেশি ভাল থাকে।
২। রান্নার কাজ:
যদি শিলনোড়া ব্যবহারের অভ্যাস থাকে, তবে তাতে হাতের ভাল ব্যায়াম হয়। তা ছাড়া, নিয়মিত ময়দা মাখলেও কাঁধ ও হাতের ভাল ব্যায়াম হয়। ভাল থাকে হাতের বাইসেপ পেশি।
৩। ঝাড়ু দেওয়া:
এখন অনেকের ওয়াশিং মেশিনে কাপড় শুকিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা আছে। চাইলে ‘ড্রাই’ করার ব্যবস্থা ব্যবহার না করে হাতে নিঙড়ে নিতে পারেন। কাপড় নিঙড়ানোর ফলে হাতের পেশিতে যে চাপ পড়ে, তা থেকেও হাতের ভাল ব্যায়াম হতে পারে। ফুলঝাড়ু নিয়ে ঘর সাফাই করার সময়ে কাঁধের পেশির ব্যায়াম হয়।
৪। ঘর মোছা:
ঘর মোছা সবচেয়ে ভাল ব্যায়ামগুলির মধ্যে অন্যতম। মাটিতে বসে হাত দিয়ে ঘর মুছলে সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম হয়। এতে হাত, পা ও পেটের পেশিতে চাপ পড়ে। এতে অসুবিধে হলে মপ ব্যবহার করুন, সে ক্ষেত্রে হাতের ভাল ব্যায়াম হবে।
৫। গাড়ি পরিষ্কার:
যাঁদের গাড়ি রয়েছে, তাঁরা যদি নিয়ম করে গাড়ি পরিষ্কার করেন, তবে এক ঘণ্টায় গড়ে ২৩৪ ক্যালোরি ঝরতে পারে। গোটা শরীরেরই পরিশ্রম হয় এতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy