— প্রতীকী চিত্র।
সকালের জলখাবার, মধ্যাহ্নভোজ এবং রাতের খাবার— অনেকেই মনে করেন, তিনবেলা পেট ভরে ভাত-রুটি খেলেই বোধ হয় শরীরের যেটুকু পুষ্টি প্রয়োজন, তার জোগান দেওয়া যায়। আবার স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই সারা দিন ধরে কিছু ক্ষণ অন্তর অল্প অল্প করে বিভিন্ন রকম খাবার খেয়ে থাকেন। দুপুরে খাবার খাওয়ার পর হঠাৎ আবার যদি মনটা খাই খাই করে, তখন সাধারণত দই, ফলমূলই খাওয়ার কথা। তবে তা স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের জন্য।
আবার একদল মানুষ রয়েছেন, যাঁরা অল্প খিদের সময়েও মিষ্টিজাতীয় বা মুখরোচক কিছু খেয়ে ফেলেন। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, খাবারের পরিমাণ নয়, গুণমানের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। সাম্প্রতিক গবেষণা অন্তত তেমনটাই বলছে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস কী ভাবে ‘কার্ডিয়োমেটাবলিক হেল্থ’ এর উপর প্রভাব ফেলে এই ছিল গবেষণার বিষয়। ১ হাজারেরও বেশি ইংল্যান্ডবাসীকে নিয়ে করা একটি সমীক্ষা বলছে বিপাকহার উন্নত করতে, খাবারের মান এবং সময় যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ‘নিউট্রিশন ২০২৩’-এ তথ্যটি প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষকেরা বলছেন, মুখরোচকের বদলে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার সঙ্গে রক্তে লিপিড এবং ইনসুলিন ক্ষরণের হার কেমন হবে তা-ও নির্ভর করে। তবে তা যদি রাত ৯টার পর থেকে খাওয়া শুরু করা হয়, তা হলে বিপত্তি দেখা দিতেই পারে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা রাত ৯টার পর থেকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর এই ধরনের খাবার খেতে শুরু করেন, তাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা অত্যধিক হারে বেড়ে গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে গবেষক, চিকিৎসক কেট বার্মিংহাম বলেন, “মুখরোচক, ভাজা, প্রক্রিয়াজাত খাবারের চেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নেওয়া সব দিক থেকেই ভাল। সুস্বাস্থ্যের প্রধান শর্তই হল ডায়েট। প্রতি দিনের খাবারের তালিকায় পুষ্টিকর খাবার যোগ করার নানা উপায় রয়েছে। তাই খিদে পেলে বাইরে থেকে কেনা খাবারের উপর ভরসা না করাই ভাল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy