ডায়াবিটিক রোগীদের প্রতিটি খাবারে ভারসাম্য রাখা প্রয়োজন। ছবি: সংগৃহীত
ডায়াবিটিস থাকলে খাওয়াদাওয়ায় অনেক কিছু বিধিনিষেধ চলে আসে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাওয়াদাওয়ার প্রতিও বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। চিকিৎসকরা সব সময়ই ডায়াবিটিক রোগীদের বেশি করে ফল ও শাকসব্জি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ তাতে রক্তে শকর্রার মাত্রা সঠিক মাত্রায় থাকে। ডায়াবিটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ফল মানেই যে স্বাস্থ্যকর এমন নয়। কারণ ফলের মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক শর্করা এবং কার্বোহাইড্রেট। তাই ডায়াবিটিক রোগীদের প্রতিটি খাবারে ভারসাম্য রাখা প্রয়োজন।
গরম পড়তেই বাজারে আম, তরমুজ, লিচু, জামরুলের মতো বিভিন্ন রকমারি ফলে বাজার ছেঁয়ে যায়। কিন্তু যাঁদের ডায়াবিটিস আছে তাঁরা অনেকেই রক্তে শকর্রার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ভয়ে তরমুজ খান না।
রক্তে শর্করার মাত্রা কতটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে তা নির্ভর করে খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মাত্রার উপর। সহজ কথায় বলতে গেলে খাবারে গ্লাইসেমিক সূচক যত কম হবে, তত ধীরে ধীরে এটি রক্তে শোষিত হবে। গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মাত্রা ০ থেকে ১০০ পর্যন্ত হয়। জিআই-এর মাত্রা যত বেশি হবে চিনি রক্তে তত দ্রুত প্রবেশ করবে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, ফোলেট সমৃদ্ধ তরমুজে কিন্তু বেশির ভাগই জল। ১২০ গ্রাম তরমুজে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স প্রায় ৫। তাই ডায়াবিটিক রোগীরা নিশ্চিন্তে তরমুজ খেতে পারেন। তবে একবারেই বেশি পরিমাণে নয়। কয়েক টুকরো খেতে পারেন। তবে তরমুজের সঙ্গে অন্য কোনও খাবার না খাওয়াই ভাল। দিনেরবেলা খেলেও রাতে তরমুজ এড়িয়ে চলুন। সবচেয়ে ভাল হয় সকালে যদি জলখাবারের সঙ্গে তরমুজ খেয়ে নেন। তা হলে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy