আম খাওয়ার নিয়মকানুন। ছবি: সংগৃহীত।
গরমকাল মানেই বাঙালির ঘরে ম ম করে আমের গন্ধ। হিমসাগর থেকে আম্রপালি—নানা ধরনের আম ভিড় করতে শুরু করে বা়ড়িতে। সকালের জলখাবারে হোক, দুপুরের খাবারে এমনকি নৈশভোজেও সঙ্গী হচ্ছে আম। গ্রীষ্মের অসহনীয় গরম সহ্য করা তো শুধুমাত্র আম খাওয়ার জন্যেই। বাঙালির আমের প্রতি অগাধ ভালবাসা। শত মনখারাপেও এক টুকরো আম মুখে দিলেই সব মেঘ কেটে যায়। তবে আম শুধু মনের নয়, শরীরেরও যত্ন নেয়। কী ভাবে শরীরের খেয়াল রাখে আম?
হজমক্ষমতা বৃদ্ধিতে
আমে রয়েছে প্রাকৃতিক এনজ়াইম। যা হজমের গোলমাল কমায়। তা ছাড়া আমে রয়েছে ফাইবার, যা হজমশক্তি উন্নত করে। বাঙালির হজমের সমস্যা লেগেই থাকে। এই মরসুমে আম কিন্তু সেই সমস্যার অবসান ঘটাতে পারে।
চোখের যত্ন
চোখ ভাল রাখতেও ভরসা হতে পারে আম। দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে আম খাওয়া জরুরি। কারণ আমে রয়েছে ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন, যা চোখের নানা অসুখের ঝুঁকি কমায়। ‘ড্রাই আইজ’- ঝুঁকি কমাতেও আম খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
প্রতিরোধশক্তি বৃদ্ধিতে
আমে রয়েছে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি জোগায়। ফলে সহজে কোনও রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে না। তা ছাড়া আমে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, যা ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।
হার্টের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে
হার্টের খেয়াল রাখতেও আম বেশ উপকারী। আমে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম উপাদান, যা শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও আমে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা হার্টের জন্য উপকারী।
এত উপকার থাকা সত্ত্বেও দৈনিক আম খাওয়ার পরিমাণে রাশ টানতে হবে। ভালবাসেন মানেই দেদার আম খেলে মুশকিলে পড়তে হতে পারে। তাই মেপে আম খাওয়া জরুরি। পুষ্টিবিদদের মতে, দিনে দু টুকরোর বেশি আম খাওয়া যাবে না। বেশি খেলেই কোষ্ঠকাঠিন্য, আলসার এমনকি ব্রণ হওয়ার ঝুঁকিও থাকে। ডায়েরিয়ার আশঙ্কাও একেবারে ফেলে দেওয়া যায় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy