প্রত্যেক ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের ভূমিকা একই, তৎপরতার সঙ্গে সঙ্কটজনক অবস্থার মোকাবিলা করে রোগীকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা।
আমরি হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার নিয়ে আলোচনায় অমিতাভ সাহা
কোনও সংকটজনক রোগীর প্রাণ বাঁচাতে ক্রিটিকাল কেয়ারই চিকিৎসকদের তুরুপের তাস। এই ক্রিটিকাল কেয়ারে চিকিৎসা করিয়েই বহু মানুষ গুরুতর অসুস্থতা কাটিয়ে জীবনের আলোয় ফিরেছেন। আবার শত চেষ্টার পরেও হেরে গিয়েছেন অনেকে। সেই কারণেই ‘ক্রিটিকাল কেয়ার’ বিভাগটিকে বহু মানুষ সম্ভ্রমের চোখে দেখেন। কিন্তু কী ভাবে কাজ করে এই ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট? কেনই বা কোনও হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার বিভাগ অন্যতম জরুরি বিভাগগুলির মধ্যে একটি? আলোচনায় আমরি হাসপাতাল, মুকুন্দপুরের ক্রিটিকাল কেয়ার বিভাগের বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক অমিতাভ সাহা।
হার্ট অ্যাটাক, ব্রেন স্ট্রোক, কোমা, অ্যাক্সিডেন্ট বা বার্নের মতো আপাতকালীন রোগীদেরকে প্রাথমিক পর্যায়ে সর্বদা ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এই ইউনিটগুলিতে সব রকমের জীবনদায়ী ব্যবস্থা থাকে। চিকিৎসক অমিতাভ সাহা জানাচ্ছেন, এই ব্যবস্থাদির মূল লক্ষ্যই হল বিভিন্ন পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট রোগীকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা।
চিকিৎসকের মতে, ক্রিটিকাল কেয়ারের অর্থ অর্গান সাপোর্ট। আমাদের শরীরের প্রত্যেক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ একটি নির্দিষ্ট ছন্দে কাজ করে। যার ফলে আমরা প্রতিনিয়ত স্বাভাবিকভাবে দিনযাপন করি। আমাদের হৃদপিণ্ড, লিভার, যকৃত, ফুসফুস ও মস্তিষ্ক এই পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কোনও একটিতে যদি কোনও সমস্যা দেখা দেয়, তা হলে আমাদের শরীরে সমস্যা দেখা যায়। এই পরিস্থিতিতে ক্রমশ রোগীর অবস্থার অবনতি হতে থাকলে, তাঁকে অবশ্যই ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসক আরও জানাচ্ছেন যে সঙ্কটাপন্ন রোগীদের বিপদমুক্ত করতে বিশেষ ব্যবস্থাযুক্ত ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের বিভিন্ন নাম রয়েছে। যেমন ‘ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট’ (আইসিইউ), ‘ইনটেনসিভ থেরাপি ইউনিট’ (আইটিইউ), ‘ইনটেনসিভ কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিট’ (আইসিসিইউ) ইত্যাদি। এই বিভাগগুলি প্রতিটি আলাদা আলাদা ভাবে কাজ করে। যেমন, আইসিসিইউ-তে মূলত হৃদসমস্যাজনিত রোগীদের ভর্তি করানো হয়। যদিও প্রত্যেক ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের ভূমিকা একই, তৎপরতার সঙ্গে সঙ্কটজনক অবস্থার মোকাবিলা করে রোগীকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা।
এ ছাড়াও আরও একটি বিষয় রয়েছে, যা এই বিভাগটিকে হাসপাতালের অন্যান্য বিভাগের তুলনায় স্বতন্ত্র করে তোলে। প্রত্যেকটি ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটেই একটি করে বিশেষজ্ঞ দল থাকে। কোনও রোগী এই ইউনিটে ভর্তি হওয়ার পরে যাতে সংশ্লিষ্ট রোগীর কোনও সমস্যা না হয়, তার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেন তাঁরা। অর্থাৎ এখানকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্স ছাড়াও প্রত্যেক প্যারামেডিক্যাল সদস্যদের বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যাতে তাঁরা রোগীর সব শারীরবৃত্তীয় কাজ অনবরত পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। এবং অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসা করতে পারেন।
শুধুমাত্র চিকিৎসাই নয়, এই সময়ে সংশ্লিষ্ট রোগীর দিকে বিশেষ নজর দিতে হয়। প্রথমত রোগীর পুষ্টি। দ্বিতীয়ত, শয্যাকালীন অবস্থায় রোগীর শরীর অকেজো হয়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচানো। যে কাজগুলি করে থাকেন একজন ফিজিওথেরাপিস্ট ও পুষ্টিবিদ।
মনে রাখবেন, ক্রিটিক্যাল কেয়ার চিকিৎসা পরিষেবায় একজন রোগীর পেছনে ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্য কর্মী ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোতায়েন থাকেন। তাই যে কোনও সঙ্কটকালীন মুহূর্তে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করাই বাঞ্ছনীয়। এমতবস্থায় দেশের অন্যতম সেরা হাসপাতাল আমরি মুকুন্দপুরের উপরে ভরসা করতে পারেন আপনি।
এই প্রতিবেদনটি আমরি মুকুন্দপুরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy